Apan Desh | আপন দেশ

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ১ মে ২০২৫

আপডেট: ১২:০৫, ১ মে ২০২৫

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার বদলে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে হয়। এতে ভেস্তে গিয়েছিল দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর। তবে পোপের মৃত্যু আবারও ট্রাম্প ও জেলেনস্কিকে কাছাকাছি করে দেয়।
 
সম্প্রতি ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফাঁকে মাত্র ১৫ মিনিটের আলোচনায় জেলেনস্কি ট্রাম্পের কাছে সহায়তার জন্য অনেক অনুরোধ করেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম দ্যা ইকোনোমিস্ট।
 
সে বৈঠকের কয়েকদিনের মধ্যেই, কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হলো যুগান্তকারী খনিজ চুক্তি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রীরা এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
 
দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির আওতায় একটি যৌথ তহবিল গঠিত হবে। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া স্বিরিদেনকো জানান, তহবিল থেকে প্রাপ্ত আয় সমানভাবে ভাগ হবে, তবে ভূগর্ভস্থ সম্পদের মালিকানা ইউক্রেনের হাতে থাকবে। আর নতুন খনিজ লাইসেন্স থেকে আসা আয়ের অর্ধেক যাবে এ ফান্ডে।

তবে এ চুক্তি সাক্ষরের আগ মুহূর্তে কিয়েভের প্রতিনিধিরা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। তারা জানান, তহবিল সম্পর্কিত মূল চুক্তি সই করতে হলে দেশটির পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পেতে হবে। আর সে অনুমোদন ছাড়া স্বাক্ষর সম্ভব নয়।
 
এতে ক্ষুব্ধ হন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথা বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী। এ সময় ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউক্রেনের এ চুক্তির বাস্তবায়ন হওয়া বেশি প্রয়োজন।
 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি কোনো জটিল চুক্তি করতে চাইনি। এমন কিছু করতে চাইনি যা আদৌ সম্ভব না কারণ ইউক্রেন এখন খুব কঠিন সময় পার করছে, অবস্থা খুবই খারাপ। আমি স্কটকে দায়িত্ব দিয়েছি, আর স্কট এটা চমৎকারভাবে সামলেছেন।

তবে এ চুক্তির পর কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হলে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আবারও চালু হবে কি না তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি তিনি আপাতত গোপন রাখতে চান।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়