Apan Desh | আপন দেশ

ইবিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

ইবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ৮ নভেম্বর ২০২৫

ইবিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

ছবি : আপন দেশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে  ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থান স্মরণে র‍্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জিয়া পরিষদ, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ইউট্যাব) সদস্যরা দিবসটি উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ অনুষদের সামনে থেকে একটি র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন জিয়াউর রহমানের স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার, শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

আরও পড়ুন<<>>জিয়া পরিষদের পদ হারালেন রাবি প্রফেসর এনামুল

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আজকের এ দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে সিপাহী জনতা। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে অনেক অভ্যুত্থান হয়েছে কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পাকিস্তান প্রেমীরা এ দেশে তৎপরতা চালাচ্ছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য। বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম ভারতের ফাঁদে পা দিয়েছে পাকিস্তানের ফাঁদে পা দিয়েছে। আমরা তাদের ঘৃণা করে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দ্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই কোন পিআর হবেনা, গণভোট হবে ভোটের দিনে।

ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বারবার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে  গ্রেফতার করা হয়। আল্লার অপার রহমতে তিনি বেঁচে যান। পরবর্তীতে ৭ নভেম্বর এক সফল বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি কারা মুক্ত হন। সেদিন থেকে মুক্ত না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভূলন্ঠিত হয়ে যেত। তিনি ক্ষমতায় আসার পরে পূনরায় ষড়যন্ত্র শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি যখন এদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আবারও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে তাকে জীবন দিতে হয়। তারা ভেবেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে হত্যা করার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আদর্শকে হত্যা করা যাবে কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ঘোষিত সময়েই যেন নির্বাচন হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান জাতীয়তাবাদী আদর্শের সবাইকে অনলাইনে অ্যাক্টিভ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, অনলাইনে আমাদের দুর্বল উপস্থিতি প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী করছে। জিয়াউর রহমের সময়কার হা ভোট না ভোটের সঙ্গে বর্তমানে হা/ না ভোটকে তুলনা কররা চেষ্টা চলছে৷ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর জনগণের মতামত নেওয়া প্রয়োজন বিধায় গণভোট করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের মতামত নিয়ে ক্ষমতায় নেই। এ পার্থক্যটা আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। বর্তমান সরকারের গণভোট রাজনৈতিক ছলচাতুরীর গণভোট আর ওই গণভোট জনগনের ম্যান্ডেট নেয়ার গণভোট।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়