Apan Desh | আপন দেশ

‘শাহবাগী বুদ্ধিজীবীরা ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করেছিল’

জবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২১:২১, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

‘শাহবাগী বুদ্ধিজীবীরা ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করেছিল’

ছবি: আপন দেশ

শাহবাগী ও তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীরা দেশে স্বৈরাচারী হাসিনার ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করেছিল। এ মন্তব্য করেন ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, এইসব বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে হিপোক্রেসি ছিল।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত শহিদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আবু সাদিক কায়েম বলেন, মুক্তির জন্য আমরা বিগত ১৬ বছর লড়াই করেছি। কিন্তু সমাজের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকদের একটা অংশ ছিল মুক্তির পক্ষে কথা বললেও কৌশলে শেখ হাসিনার জুলুম নির্যাতনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে ছাত্রশিবির ছিল সবচেয়ে মজলুম সংগঠন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বিশ্বজিৎকে আমরা শিবির সন্দেহে হত্যা করতে দেখেছি। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর শিবির সন্দেহে কাউকে মারার বৈধতাকে প্রশ্ন করা হয়। তবে তখনও মারার পর কেউ শিবির প্রমাণিত হলে সবাই এ বিষয়ে নিশ্চুপ থাকতো। দুই হাজার শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভালো মানুষ তৈরি করা। জ্ঞান নির্ভর সমাজ ও মানুষ তৈরি করা। জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি।

মোশনের উপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় মোট ২৪ টিম অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক টিমে ৩ জন করে বিতার্কিক অংশগ্রহণ করে। বিতর্কটি ট্যাব ফরমেটে হয়। ট্যাব পর্বে প্রত্যেক টিম ৩ রাউন্ড বিতর্ক করার সুযোগ পায়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, আর সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক।

‘জকসু নির্বাচনে এ সংসদ অরাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন দিবে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায়বিরোধী দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ান নির্বাচিত হয় ইতিহাস বিভাগ আর সরকারি দল হিসেবে রানার্স আপ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। ফাইনাল বিতর্কে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন জয়ী দলের রুকসানা মিতু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা হিসেবে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়