Apan Desh | আপন দেশ

সবজি-মুরগির দাম কমলেও মাছের বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ১৩ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৪:০৩, ১৩ জুন ২০২৫

সবজি-মুরগির দাম কমলেও মাছের বাজার চড়া

ছবি : আপন দেশ

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে সবে মাত্র ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এখনও চিরচেনা রুপে ফেরেনি ব্যস্ত রাজধানী ঢাকা। বাজারের কিছু কিছু দোকান এখনও বন্ধ রয়েছে। ক্রেতার সমাগমও কম। ফলে সবজি, মুরগি ও ডিমের বাজারে স্বস্তি রয়েছে। গরু-খাসির মাংসের দোকানে ক্রেতার দেখা নেই। তবে ছোট-বড় মাছের চাহিদা থাকায় কিছুটা দাম বেড়েছে। বিশেষ করে চিংড়ি ও ইলিশ মাছের দাম চড়া।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হয়েছে। এরপর পণ্য কেনাবেচার চাহিদা কমেছে। অনেক বিক্রেতা ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন। সোমবার (১৬ জুন) থেকে বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। 

বিক্রেতারা জানান, ঈদের কারণে বাজারে  সবজি ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ একপ্রকার বন্ধই ছিল। ঢাকার আশপাশের কিছু এলাকা থেকে অল্প কিছু সবজি এসেছে বাজারে। দাম আগের তুলনায় কম। রোববার (১৫ জুন) নাগাদ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম। মাংস, চালসহ বেশিরভাগ পণ্যের অনেক দোকানই বন্ধ। 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙা, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কাকরোল, করলা, বেগুন প্রভৃতি সবজি কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পটোল, চিচিঙা, ধুন্দল, লতির মতো সবজি। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ও জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

ঈদের আগের রাতে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় সালাদ বানানোর বিভিন্ন পণ্যের দাম। শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ, টমেটো, গাজরের দাম বেড়ে যায়। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ও কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি টমেটো আগের মতোই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেখা গেছে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি এখনও কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বাজারে আসা ক্রেতা রাসেল বলেন, ঈদের পর পরিবারে আর কেউই মাংস খেতে চাচ্ছে না। গরু-খাসির মাংসে যেন অনেকটা বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। তাই সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। মুরগির দামটা আমার কাছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ কমই মনে হয়েছে। মোটামুটি সস্তা হওয়ায় এখন মুরগির মাংস সবাই খেতে পারে।
 
বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ভ্যানে করে কিছুটা ছোট আকারের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাজারে কিছুটা চড়াভাব দেখা যায়। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশ কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের রুই ও কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়, যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি।

চাল, আলু, ডাল, তেল প্রভৃতি আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগরসহ অধিকাংশ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকায়। 

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজও। বাজারভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১২০-১৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ