Apan Desh | আপন দেশ

ট্রাম্প সরকারকে চটানো যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্প সরকারকে চটানো যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি: আপন দেশ

আমরা ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াব, সমঝোতা করব। কিন্তু তাদের চটানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ট্রাম্প সরকার আমাদের তিন মাস সময় দিয়েছে, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় চাইব।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রমুখ।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা গ্র্যাজুয়েশনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের অনেক প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ইউএস কমার্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ৭০ থেকে ৮০ জনের সঙ্গে আলাপ করেছি।

আরওপড়ুন<<>>‘প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকিতে প্রস্তুতি না রাখাই আত্মঘাতী’

রেয়াত ও কর অব্যাহতির যুগ চলে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে আমরা অনেক পেছনে আছি। আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে, সরকারও চালাতে হবে। আবার ব্যবসায়ীদেরও প্রণোদনা দিতে হবে। সেজন্য টাকার দরকার। কর দেয়াটা করদাতার জন্য ব্যয় মনে করা হয়। কিন্তু আপনি কর দিলে তার বেনিফিট আপনিও পান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য অন্যান্য সামাজিক সেবা পাওয়ার জন্য কর দিতে হবে।

ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য বর্তমান সময়টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, সবাইকে নিয়ে দেশটা গড়ার। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষের জীবন-জীবিকা সহজ করার। গালমন্দ খাচ্ছি, সেটা মেনে নিছি। আগামী বাজেটে চেষ্টা করবো সহানুভূতিশীল হওয়ার। আপনারাও সহানুভূতিশীল হবেন। উইন উইন সিচুয়েশান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের ধারণা খুবই ভালো। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের কিছু মানুষের সমালোচনা। তখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। বিশ্যব্যাংক আমাদের সঙ্গে আছে, আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা চলছে।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্পে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করেন।

ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব জানিয়ে তিনি বলেন, করমুক্ত আয়সীমা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া নারী করদাতা ও ৬৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকা করা প্রস্তাব করেন তিনি।

আপন দেশ/এমইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়