Apan Desh | আপন দেশ

টাঙ্গাইল-৬ আসনে বিএনপির ১৮ নেতা মনোনয়ন দৌড়ে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৮ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইল-৬ আসনে বিএনপির ১৮ নেতা মনোনয়ন দৌড়ে

সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ১৮ নেতা মাঠে নেমেছেন। তারা সবাই দলীয় ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিয়মিতভাবে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাদের মধ্যে দুজন যুক্তরাজ্য প্রবাসীও রয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাঠে সংগঠন শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির নূর মুহাম্মদ খান, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নূর মুহাম্মদ খান, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির খন্দকার আবু তাহের, ১৯৯৬ সালের জুন ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী এমপি নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুল বাতেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই ব্যক্তি। আর ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি নির্বাচিত হন।

বিএনপি সূত্র জানায়, প্রয়াত মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী দীপালী চক্রবর্তী এবার মনোনয়ন চাইছেন। তার সঙ্গে আরও ১৭ জন বিএনপি নেতাও মনোনয়ন প্রত্যাশী।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন:
নূর মুহাম্মদ খান, মো. রবিউল আওয়াল লাভলু, আতিকুর রহমান আতিক, মীর আবুল কালাম আজাদ (রতন), অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন, মো. শরিফ উদ্দিন আরজু, মো. শরীফুল ইসলাম স্বপন, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল ইসলাম রেজা, রাজীব আহমেদ, মোহাম্মদ শামীম চৌধুরী বাবু, মো. জুয়েল সরকার, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ মাইনুল আলম খান কনক, এসএম ফেরদৌস হোসেন, এমএ ছালাম ও হাবিবুর রহমান হবি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রার্থী এলাকায় সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও দরিদ্র সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। অনেকে লিফলেট বিতরণ ও পোস্টার টানিয়েছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মো. রবিউল আওয়াল লাভলু, শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক ও মীর আবুল কালাম আজাদ (রতন) প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। মো. শরিফ উদ্দিন আরজুও এলাকায় ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন। প্রায় প্রতিদিনই গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন। স্থানীয়দের ভাষায়, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড় এখন জমজমাট।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী ইমাম তপন ও গৌতম চক্রবর্তীর স্ত্রী দীপালী চক্রবর্তীও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ধীরে ধীরে মাঠে নামছেন।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড় মূলত চার নেতা—লাভলু, আতিক, রতন ও আরজু—এ চারজনের মধ্যে ঘুরছে বলে জানা গেছে। তবে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ ছালাম শেষ মুহূর্তে “চমক” দিতে পারেন বলেও দলের ভেতরে আলোচনা চলছে।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী ডা. একেএম আব্দুল হামিদকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আখিনুর মিয়াকে, আর খেলাফত মজলিস আব্দুল মান্নান শেখকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এনসিপি’র মেজর (অব.) সালাউদ্দিন ও গণঅধিকার পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেনও প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নাগরপুর ও দেলদুয়ার—দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৫ জন। এর মধ্যে নাগরপুরে ভোটার ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭ জন, আর দেলদুয়ারে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৮ জন।

তৃণমূলের প্রত্যাশা, বিএনপি এবার এমন প্রার্থী দেবেন, যিনি সংগঠনের ঐক্য বজায় রেখে আওয়ামী লীগের আধিপত্য ভাঙতে পারবেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়