Apan Desh | আপন দেশ

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেই মারা গেলেন ছেলে 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ২৪ আগস্ট ২০২৫

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেই মারা গেলেন ছেলে 

ছবি: আপন দেশ

মা অসুস্থ, এমন খবর শুনে ওষুধ নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসেন ছেলে। হাসপাতালে এসে তিনি জানতে পারেন তার মা আর নেই। এমন অবস্থায় সেখানেই স্ট্রোক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ছেলে। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার পৌর শহরের বাগানপাড়ায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় মৃতরা হলেন: মা পৌর শহরের বাগানপাড়ার আলাউদ্দীনের স্ত্রী চায়না বেগম (৬৩) ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫)।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ এলাকায় হাঁটছিলেন নাছিমা খাতুন। হঠাৎ পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে সদর হাসপাতালের নারী সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন। 

মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে তার ছেলে সাইফুল ছুটে যান হাসপাতালে। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক চায়না খাতুনকে চিকিৎসা শেষে ওয়ার্ডে স্থান্তারিত করেন। সাইফুল ইসলাম ওয়ার্ডে গিয়ে মায়ের খোঁজখবর নিয়ে মায়ের জন্য ওষুধ কিনে ওয়ার্ডে দিয়ে হাসপাতাল ভবনের নিচে আসেন। এরমধ্যে তার কাছে মায়ের মৃত্যুর খবর আসে। খবর শুনেই মানসিক ধাক্কা নিতে পারেননি সাইফুল। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত চিকিৎসা দিতে দিতেই মারা যান সাইফুল।

আরও পড়ুন <<>>প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সাদিয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার শাশুড়ি পাড়ায় হাঁটতে গিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে আনার পরেও মাকে বাঁচানো গেল না। এরমধ্যেই আমার স্বামী মাকে দেখেই ভেঙে পড়েন। মাকে হারানোর শোক তিনি নিতে পারলেন না। মুহূর্তের মধ্যে তাকেও আমরা হারালাম।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, শনিবার বিকেলে চায়না বেগম জরুরি বিভাগে আসেন। পরিবারের সদস্যরা জানান তিনি হাঁটতে গিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। ওনার ছেলে সাইফুল ইসলামকেও জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি হোসেন আলী বলেন, মায়ের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে গিয়ে স্ট্রোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে জানতে আমরা কাজ করছি৷

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়