Apan Desh | আপন দেশ

মওলানা ভাসানী সেতুর উদ্বোধন, যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ২০ আগস্ট ২০২৫

মওলানা ভাসানী সেতুর উদ্বোধন, যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

ছবি: আপন দেশ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হলো গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের স্বপ্নের ‘মওলানা ভাসানী সেতু’। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেতুটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এদিকে, সেতুটি চালু হওয়ায় এ দুই জেলা যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন হবে দ্রুত ও সহজতর।

এর আগে,উপদেষ্টা রংপুর থেকে সড়ক পথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর হয়ে সেতুস্থলে পৌঁছান। পরে সেতুর উত্তর পাশে ফলক উন্মোচন করে সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর গাড়ি বহরে সেতুর দুই প্রান্ত ঘুরে দেখেন তিনি। পরে সেতুর গোলচত্বর এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন আসিফ মাহমুদ। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশ নেয়।

সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের নানা বয়সী মানুষের ঢল নামে সেতু এলাকায়। সেতুর উভয়প্রান্তে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেতুতে মানুষের ভিড় সামলাতে হিশশিম খায় পুলিশ ও সেনাবাহীনির সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

আরওপড়ুন<<>>এনসিপি থেকে ১৫ নেতার পদত্যাগ

দীর্ঘ এ সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত বিস্তৃত। ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯.৬০ মিটার প্রস্থ দুই রেনের সেতুর মোট স্প্যান সংখ্যা ৩১টি। এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় সেতু।

চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করেছে। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)-এর অর্থায়নে নির্মিত এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা।

এর আওতায় ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদী শাসন এবং প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ সেতুটি চালু হওয়ায় গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হল। এ সেতু দিয়ে শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন দ্রুত ও সহজতর হবে। একইসঙ্গে ছোট ও মাঝারি শিল্পকারখানা নির্মাণের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।

স্থানীয়রা জানান, এ সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও গতি আনবে। গাইবান্ধা-কুড়িগ্রাম তথা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়