নিহত পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির দুইদিন পর নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন মেঘনার পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাইফুল লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
আরওপড়ুন<<>>মিথ্যা হত্যা মামলায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি
স্থানীয়রা জানায়, দরবেশ বাজারের দক্ষিণে মেঘনা নদীর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি তুলে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সাইফুলের সহকর্মী ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, আজ বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সঙ্গে সাইফুলের মরদেহ কিনারায় ভেসে উঠে। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাইফুলের মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মোট তিন মারা যায়। এখনও তামিম নামে এক রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩১ মে) দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৩৯জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
