Apan Desh | আপন দেশ

ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিল চবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ১৪ মে ২০২৫

ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিল চবি

সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। বুধবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে আয়োজিত ৫ম সমাবর্তন থেকে তাকে এ সম্মাননা ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

ডি-লিট ডিগ্রি গ্রহণের পর বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুলেছি। এটা আত্মঘাতী। এটা টিকবে না। আমাদেরকে নতুন সভ্যতা গড়তে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। ৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সারা দেশে তখন হাহাকার চলছে। সেই দুর্ভিক্ষ দেখে মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তা আসে। সেইচিন্তা থেকে ক্ষুদ্রঋণ চালু করি। নোবেল পুরস্কার পাব তা কখনও মনে আসেনি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুটি নোবেল পুরস্কারের জন্য গর্ববোধ করতে পারে। একটি আমি নিজে এ বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি, আরেকটি গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্মও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান অর্থনীতি ব্যবসার অর্থনীতি, মানুষের অর্থনীতি নয়। আমরা ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুলেছি। এটা আত্মঘাতী। এটা টিকবে না। আমাদেরকে নতুন সভ্যতা গড়তে হবে। আমরা যে বিশ্ব গড়তে চাই, সে ক্ষমতা আমাদের আছে। সব মানুষেরই আছে। কিন্তু গৎবাঁধা পথে চলে যাই বলেই আমরা নতুন পৃথিবীর কথা চিন্তা করি না।
 
গবেষকদের উদ্দেশে এ নোবেল বিজয়ী বলেন, মনে রাখতে হবে, আমরা শুধু খণ্ডিত বিষয়ে গবেষণার জন্য নিয়োজিত নই, পুরো বিশ্বকে মনের মতো করে সাজানোর জন্য, বানানোর জন্য আমাদের নিয়োজিত হতে হবে। আমাদের যদি সে লক্ষ্য না থাকে, তাহলে তা গন্তব্যবিহীন গবেষণা হবে।

পৃথিবীব ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের হাতে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে বিশ্বকে গড়তে চাই, সেভাবেই বিশ্ব গড়তে পারি। আমি যেভাবে বলেছি সেভাবে গড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমি আমার কথা বলে যাচ্ছি, অন্যরা অন্যদের কথা বলবে। কিন্তু নিজের মনের একটা স্বপ্ন থাকতে হবে–যে আমরা কী ধরনের বিশ্ব চাই, কী ধরনের সমাজ চাই, কী ধরনের সংসার চাই, কী ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চাই–মনের মাধুরী মিশিয়ে এগুলো আমাকেই বের করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষকরা । 

সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়