ছবি: আপন দেশ
বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের ২১টির বেশি জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে উত্তর অঞ্চলে হার কাঁপানো শীতে নাজেহাল সবশ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর (বুধবার) গোপালগঞ্জ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আবু সুফিয়ান গণমাধ্যমে জানান, আজ সকাল ৬টায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৩ সালে ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে ৩ ডিগ্রি ও ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন<<>>তাপমাত্রা নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একই দিনে, সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া সেদিন রংপুর বিভাগের আট জেলার সবকটিতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির কম ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সে বছর দফায় দফায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
আপন দেশ/ এসআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































