ছবি- ইএসপিএন ক্রিকইনফো
ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট শাস্তি পেয়েছেন দক্ষিণ অফ্রিকার তারকা করবিন বশ।
এ ঘটনাটি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঘটে। বেন দারউইশকে আউট করার পর বশ ডাগআউটের দিকে ইঙ্গিত করেন। এমন আচরণ ব্যাটারের আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে বলে মনে করা হয়েছে।
ম্যাচ শেষে রেফারির কাছে বশ অপরাধ স্বীকার করেন এবং শাস্তি মেনে নেন। ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। আইসিসির এলিট প্যানেলের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট এ শাস্তি দেন। অন-ফিল্ড আম্পায়ার ফিলিপ গলেস্পি, শন ক্রেইগ, তৃতীয় আম্পায়ার স্যাম নোগাজস্কি এবং চতুর্থ আম্পায়ার ডোনোভান কচ করবিন বশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
শৃঙ্খলাজনিত এ বিপত্তি সরিয়ে রাখলে অবশ্য বশ এদিন মাঠে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ৩ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি।
আরওপড়ুন<<>>বাফুফের সহ-সভাপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তিন ম্যাচের সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে সিরিজটি ১-১ সমতায় রয়েছে। ফলে শনিবার (১৬ আগস্ট) কেয়ার্নসে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, যা এখন অলিখিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, আইসিসির আচরণবিধির ২.৫ ধারায় বলা হয়েছে- আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার পর এমন ভাষা, আচরণ বা অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করা যাবে না। যা অবমাননাকর বা আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে। বশের বিরুদ্ধে এটি প্রথম অপরাধ হওয়ায় তাকে লঘু শাস্তি দেয়া হয়েছে।
লেভেল–১ পর্যায়ের এসব অপরাধের ন্যূনতম শাস্তি হলো আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা। তবে রেফারি অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি’র সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত করতে পারেন। ডিমেরিট পয়েন্ট খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলাবিষয়ক রেকর্ডে ২৪ মাস থাকে এরপর তা মুছে যায়। এ সময়কালে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হলে তা নিষেধাজ্ঞায় রূপান্তরিত হয়। ফলে পরবর্তী ম্যাচে ওই খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হতে পারে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
