Apan Desh | আপন দেশ

ইসরায়েলি হামলায় ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ নিহত

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৮ আগস্ট ২০২৫

ইসরায়েলি হামলায় ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ নিহত

ফিলিস্তিনের পেলে খ্যাত ফুটবলার সুলেইমান আল–ওবেইদ

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বিমান থেকে বোমা ও ডোন হামলার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরটিতে। ফলে সেখানে অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। এবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন ফিলিস্তিনের পেলে খ্যাত ফুটবলার সুলেইমান আল–ওবেইদ। 

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্যের জন্য জনতার সঙ্গে অপেক্ষায় ছিলেন দেশটির সাবেক কিংবদন্তি এ ফুটবলার। তখন ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে প্রাণ হারান ৪১ বছরের সুলেইমান। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএএফ) তাদের ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করেছে তার মৃত্যুর খবর।

‘ফিলিস্তিনের পেলে’ নামের কারণে সুলেইমানের পরিচিতি ছিল বিশ্বজুড়ে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি এরিক ক্যান্টোনা নিজের ইনস্টাগ্রামে এ নামেই ডেকে জানালেন শোক আর প্রতিবাদ, ফিলিস্তিন জাতীয় দলের তারকা সুলেইমান আল–ওবেইদকে ইসরায়েল হত্যা করেছে সাহায্য পাওয়ার আশায় অবস্থান করার সময়। তাকে ডাকা হত ফিলিস্তিনের পেলে নামে। তাদের আর কত গণহত্যা করতে দেব আমরা? মুক্ত হোক ফিলিস্তিন।

তার মৃত্যুতে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, মানবিক সাহায্যের জন্য গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শহীদ হয়েছেন সুলেইমান আল–ওবেইদ। ফিলিস্তিন ফুটবলে সুলেইমান দ্য গ্যাজেল (হরিণ), দ্য ব্লাক পার্ল (কালো মুক্তা), হেনরি অব প্যালেস্টাইন আর পেলে অব প্যালেস্টাইন ফুটবল নামে পরিচিত ছিলেন। ফুটবলের এ পেলে মারা গেছেন পাঁচ সন্তান রেখে।

গাজায় জন্ম নেয়া সুলেইমান পশ্চিম তীরে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন ক্লাব আল আমারি ইয়ুথ সেন্টারে। সেখানে খেলেছেন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১০–১১ মৌসুমে জেতেন ফিলিস্তিনের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ। আল আমারি, আল শাতিয়া হয়ে যোগ দিয়েছিলেন গাজা স্পোর্টস ক্লাবে।

দলটির হয়ে সাউদার্ন গভর্নরেটস প্রিমিয়ার লিগে ২০১৬–১৭ মৌসুমে করেন সর্বোচ্চ ১৭ গোল। আল খাদামা ক্লাবের হয়েও লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন পরের মৌসুমে। জাতীয় দলে খেলেন ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত।

পিএএফ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে খেলাধুলা ও স্কাউটিং–সংশ্লিষ্ট পরিবারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬২তে। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন–সংশ্লিষ্ট মারা গেছেন ৩২১ জন। তাদের অন্যতম খেলোয়াড়, কোচ, প্রশাসক, সংগঠক, রেফারি ও ক্লাবের বোর্ড সদস্য।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়