ছবি : আপন দেশ
নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উদ্যাপন করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা ওলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান। এতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করবার চক্রান্ত করছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবে।
সম্রাট বলেন, এবার পুজা না আসলে জামায়াতের আসল চেহারা কেউ বুঝতে পারতো না। ওরা ধর্ম ব্যাবসায়ী। ওরা ক্ষমতার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতেও দ্বিধা বোধ করে না। ধর্ম অবমাননার জন্য জামাতের নিবন্ধন বাতিল করবার জন্য আহবান জানান তিনি।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, বিএনপিই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে জাতির সকল দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সেসময় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা না দিয়েই আত্বসমর্পণ করেছিলেন।
গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সিপাহী-জনতা হাতে হাত রেখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করেন। তিনি বাকশালের একনায়কতন্ত্র থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। আবার দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন।
আরও পড়ুন<<>>জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার প্রকাশ
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত মিলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সংসদে গিয়েছে। জামাত ১৯৯৬ সালে বিএনপির সঙ্গে বেঈমানী করে হাসিনার সঙ্গে হাত মিলায়। ফলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। জামাত বার বার জাতির সঙ্গে বেঈমানী করেছে। জামায়াত ১৯৪৭ সালে ভারতের হিনদুতববাদীকে সহযোগিতা করেছে। একাত্তরে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। ১৯৮৬ সালে স্বৈরশাসক এরশাদকে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলনে বিএনপিই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যা গুম খুন, ক্রসফায়ার এবং আয়না ঘরে গিয়েও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেঈমানী করেনি। বেগম খালেদা জিয়া জেলে গিয়েছেন তবুও আপোস করেন নি।
গিয়াস আহমেদ বলেন, ২৪ এর কোটাবিরোধী আন্দোলনে যখন সমন্বয়করা ডিবি হারুনের ভাতের হোটেলে ভাত খেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক দফার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। জনগণ তার কথায় একদফার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু ড. ইউনুস সাহেব সমস্ত কৃতিত্ব কয়েকজন ছাত্রকে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছেন। ফলে দুই ছাত্র উপদেষ্টা তদবীর বানিজ্যে জড়িয়ে পরেছেন। তারা নির্বাচন বানচাল করতে জামায়াতের সঙ্গে চক্রান্তে লিপ্ত। তিনি দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































