Apan Desh | আপন দেশ

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে তারেক রহমানের বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৫:২৮, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে তারেক রহমানের বার্তা

তারেক রহমান।

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন দেখার, শেখার, নেতৃত্ব দেয়ার ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার উদ্‌যাপন করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিভাইড পেইজে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমি জানি, কন্যাদের ক্ষমতায়ন শুধু নীতির বিষয় নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্বও। আমাদের স্বপ্ন এমন এক বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে প্রত্যেক কন্যা সে স্বাধীনতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা পাবে। যা প্রতিটি অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য কামনা করে।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকার সবসময় মানুষের জীবন বদলে দেয়ার কাজ করেছে। সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।

আরও পড়ুন>>>চাঁদাবাজি-অপহরণ, ঢাবি ছাত্রদল নেতা আটক

বার্তায় তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পোশাক শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে একে শুধু একটি শিল্প হিসেবে নয়, বরং আশার প্রতীকে পরিণত করেছিলেন। লাখো নারী প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, আয়, সম্মান ও স্বাধীনতা অর্জন করেন। তার উদ্যোগেই নারী ও কন্যাদের উন্নয়নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করা হয়।
 
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষা অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা বিনামূল্যে ঘোষণা করা হয়, আর ‘ফুড ফর এডুকেশন’ ও ‘ক্যাশ ফর এডুকেশন’ কর্মসূচির মাধ্যমে লাখো কন্যাশিশু স্কুলে টিকে থাকতে পেরেছে। এতে পরিবারের ভাগ্য বদলেছে, সমাজ হয়েছে শক্তিশালী, আর তৈরি হয়েছে এক আত্মবিশ্বাসী নারী প্রজন্ম।
 
তারেক রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গসমতা অর্জিত হয় ও বাল্যবিবাহ কমে আসে। এ প্রকল্পটি পরে কন্যাশিক্ষা ও ক্ষমতায়নের বৈশ্বিক মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যা অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হয়েছে।
 
বিএনপি নেতা বলেন, এ পদক্ষেপগুলো প্রমাণ করে, যখন সরকার কন্যাদের মর্যাদা রক্ষা করে ও তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন অসাধ্যও সাধ্য হয়ে ওঠে।
  
তিনি জানান, বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
 
১. ‘ফ্যামিলি কার্ড’ নারীর নামে প্রদান যাতে সহায়তা ও সুবিধা পরিবারের মূল স্তম্ভের হাতে সরাসরি পৌঁছায়।
২. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আপসযোগ্য নয়।
৩. নারীদের জন্য শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি যেন শহর বা গ্রামের প্রত্যেক কন্যা দক্ষতা অর্জন করে ভবিষ্যৎ গড়তে পারে।
৪. রাজনীতি, প্রশাসন ও নীতিনির্ধারণে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি কারণ নিরাপদ দেশ গড়তে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
৫. মর্যাদা ও স্বাধীনতার সুরক্ষা যাতে মেয়েরা নির্ভয়ে চলাচল করতে, মত প্রকাশ করতে, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ও স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে।
৬. পরিবার ও সামাজিক কল্যাণকে নীতির কেন্দ্রে রাখা হবে; স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারী ও কন্যাদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।
 
বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের কথা কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, এটি বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গঠিত। আমরা এমন এক রাষ্ট্র গড়ব, যেখানে নারীর স্বপ্নপূরণের পথে রাষ্ট্র তাকে সাহায্য করবে, বাধা দেবে না।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়