Apan Desh | আপন দেশ

চাঁদাবাজি-অপহরণ, ঢাবি ছাত্রদল নেতা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৪:৫৮, ১১ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদাবাজি-অপহরণ, ঢাবি ছাত্রদল নেতা আটক

ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি হলেন সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন। চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে,  তারা একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছেন। গুলশান এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তারা মুক্তিপণ দাবি করেন। এছাড়াও ওই ব্যবসায়ীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওন ও মোহাম্মদ ইদ্রিসকে (৪৬) আটক করেছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) গুলশান থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশান এলাকায় একটি অভিযান চালানো হয়। সে অভিযানে নাছির উদ্দিন শাওন ও মোহাম্মদ ইদ্রিসকে আটক করা হয়। অপহৃত ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ এ মামলাটি করেন। মামলায় ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওন, ইদ্রিসসহ আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>‘উপদেষ্টাদের নয়, বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে জাতির সেফ এক্সিট দরকার’

পুলিশ সূত্র আরও জানিয়েছে। নাছির উদ্দিন শাওন এবং মোহাম্মদ ইদ্রিসকে শনিবার পুরান ঢাকার সিএমএম কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

তবে ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন ছাত্রদলের কেউই। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়া ইমন, দফতর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামিসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো জানি না। হয়তো সেই কারণেই নেতৃবৃন্দ ফোন ধরছেন না।
এদিকে মামলার বাদী শেখ নাঈম আহমেদ রাজধানীর পান্থপথ এলাকার ‘ট্রিপজায়ান’ নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার বিকালে গুলশানে ব্যবসায়িক কাজে গিয়ে ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওন ও তার সহযোগীদের হাতে তিনি অপহৃত হন।

এজাহারে নাঈম বলেন, ৯ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে গুলশান-১ এলাকায় মিটিং শেষে বিসমিল্লাহ হানিফ বিরিয়ানি অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। খাওয়া শেষে বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে নাছির উদ্দিন শাওন আমাকে ফোন করে দুবাইয়ের টিকিট কেনার কথা বলে আমার অবস্থান জানতে চান। কিছুক্ষণ পর শাওন, ইদ্রিস, হেলালসহ ৮–১০ জন এসে আমাকে ঘিরে ধরে পাশের খলিফাস রেস্টুরেন্টে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় তারা আমার ফোন, ল্যাপটপ ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও গুলশান লেকপাড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মুক্তিপণ না দিলে রাত পৌনে ১২টার দিকে ভুক্তভোগীকে মোটরসাইকেলে তুলে হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যৌথ বাহিনীর একটি চেকপোস্টে তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে শাওনসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। যৌথ বাহিনী ইদ্রিসকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে গুলশান থানার ওসি, ওসি (তদন্ত), পরিদর্শক (অপারেশন) এবং ডিসি (গুলশান) এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কেউ ফোন ধরেননি।

থানার দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার শনিবার সকালে জানান, মামলাটি রুজু হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। নাম প্রকাশেও তিনি অনিচ্ছুক ছিলেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়