
ছবি: সংগৃহীত
আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ, সহিংসতা ও গুলিতে তিনজন নিহত হয়। ওই ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নীরব অবস্থান নিয়েছে অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অলিক মৃ। তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে নিজের পদত্যাগের বিষয়টি জানান।
অলিক মৃ লেখেন, আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতা, তিন আদিবাসীকে হত্যার ঘটনা নিয়ে এনসিপির নীরবতা এবং ধর্ষণ নিয়ে আবদুল হান্নান মাসউদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আমি দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
আরওপড়ুন<<>>‘পাহাড়ে পুরাতন খেলা শুরু হয়ে গেছে’
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ই-মেইল ও দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।
অলিক মৃ গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবারের (২৬ সেপ্টেম্বর) ঘটনায় এনসিপির খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির এক বিবৃতি প্রকাশিত হলেও সেখানে ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ ছিল না। বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমি দলীয় গ্রুপে ও ই-মেইলে প্রশ্ন তুললেও কোনো জবাব পাইনি।
এদিকে, এনসিপি নেতা আবদুল হান্নান মাসউদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অলিক মৃ। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে হান্নান মাসউদকে বলতে শোনা যায়, একটা ভুয়া ধর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভারত আমাদের পার্বত্য অঞ্চল অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক বলেন, এমন পরিস্থিতিতে দলীয় পদে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না তিনি।
অন্যদিকে, অলিক মৃর পদত্যাগের কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে হান্নান মাসউদ পুনরায় দাবি করেন, একটি ধর্ষণের ঘটনাকে সামনে এনে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে... আমার দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমি জীবন দিয়েও লড়ব।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।