Apan Desh | আপন দেশ

‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৩২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে’

ছবি: আপন দেশ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাহাড়ে হঠাৎ করে অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। এ সময়েই গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়— প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো চক্র জড়িত রয়েছে।

তিনি বলেন, সেজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী কোনো চক্রান্ত বা মাস্টারপ্ল্যান থেকে থাকলে তা ব্যর্থ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যে মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে— পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে— এই কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনো পাতানো বিষয়? হ্যাঁ, আমাদের অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে— পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে? এটাও মানুষকে ভাবাচ্ছে যে, বিষয়টি কি পরিকল্পিত? এমন বক্তব্য দেশের জন্য বিপজ্জনক ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী।

তিনি আরও বলেন, আমরা একসময় ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। কিন্তু আজ আবারও নতুন করে মাটির ভেতর থেকে, পাতাল থেকে, আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কি না— সেটি আজ মানুষের মনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ড সে আশঙ্কাকে উসকে দিচ্ছে। ‘জামায়াত নেতার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা’র কথার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। বড় ধরণের কোনো গেম প্ল্যান কি না তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। জামায়াত একটি ভয়ংকর নীলনকশার মধ্যে রয়েছে। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কথা। দেশের স্বার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত রয়েছে।

আরওপড়ুন<<>>‘পাহাড়ে পুরাতন খেলা শুরু হয়ে গেছে’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সপ্তমী প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এ উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এ উৎসবকে ঘিরে যেমন নানা ধরনের অপতৎপরতা রয়েছে, তেমনি আমরা চাই, উৎসবটি যেন বাধা-বিঘ্ন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এজন্য আমরা সবাই সতর্ক আছি।

তিনি জানান, প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা নজরদারি করছে এবং নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার আগবান জানাচ্ছেন, পূজা নির্বিঘ্নে পালনের বিষয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন।

রিজভী বলেন, দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্তকারী সক্রিয় রয়েছে, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে জাতিগত সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের এ উৎসবগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করুন। কেউ যাতে উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দফতর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়