
ছবি : আপন দেশ
বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৮ জন গবেষক। তার মধ্যে ১৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’-এর সমন্বিত জরিপে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় স্থান পাওয়া গবেষকেরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম এইচ. মন্ডল, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক জাকের হোসাইন ও অধ্যাপক আতোয়ার রহমান।
ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম আল-বারি, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মির্জা হুমায়ুন কবির রুবেল, ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহিতোষ বিশ্বাস, ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. ইয়ামিন হোসাইন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হাসান আহমাদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস প্রফেসর এ কে এম আজহারুল ইসলাম, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রভাষক ড. আবু সালেহ মুছা মিয়া।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশনে আরো ৫ জন গবেষকের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তারা হলেন মোহাম্মাদ আব্দুল হাদি, মোহাম্মাদ শফি উল্যাহ, মনোয়ার হোসাইন খন্দকার, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. চানমিয়া শেখ।
আরও পড়ুন<<>>শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার দাবিতে মানববন্ধন রাবি ইউট্যাবের
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মাদ আব্দুল হাদি রাবির শিক্ষক নন। তিনি একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। তবে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শফি উল্যাহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মনোয়ার হোসাইন খন্দকার রাবির ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি জাপানে গবেষণা করছেন।
স্কোপাস ডাটাবেজের পদ্ধতিগত কারণে মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. চানমিয়া শেখ-এর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কারণ স্কোপাস ডাটাবেজের পদ্ধতি হলো একাধিক গবেষকের নামের বানান হুবহু একই হলে ওই সকল গবেষকের নামে একটাই অ্যাকাউন্ট থাকবে—যদি না তাঁরা ভিন্ন-ভিন্নভাবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট তৈরির দাবি না করেন। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের নাম হুবহু একই হলে বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়।
এ জটিলতার কারণে এ দুজন গবেষকের ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশন আসলেও তারা রাবির কোনো শিক্ষক নন। তারা রাবির অ্যাফিলিয়েশন ব্যবহার করেছেন মাত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এটা নিশ্চয়ই বেশ খুশির খবর। গবেষকরাই একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সারা দুনিয়ার সামনে পরিচিত করে। আশা করি আগামী বছর এ সংখ্যাটা আরও বাড়বে। এ তালিকায় স্থান পাওয়া ও যারা নিরলসভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। আমরা গবেষণা খাতে বাজেট বাড়াব।
আপন দেশ/জেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।