
তাহসান খান। ছবি সংগৃহীত
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান। শুধু সংগীতশিল্পীই নন, অভিনেতা ও উপস্থাপক হিসেবেও তার জনপ্রিয়তা কম নয়। হঠাৎ করেই এ সংগীতশিল্পী গান ছাড়া ঘোষণা দেন। তাহসান খান মেলবোর্নে তার শেষ কনসার্টে ঘোষণা দিয়েছেন, অভিনয় ছাড়ার ঘোষণার পর এবার সংগীত ক্যারিয়ারও ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার বক্তব্যে মিশে ছিল আবেগ, কৃতজ্ঞতা ও বিদায়ের সুর।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা এ তারকা ২৫ বছরের সংগীত জীবনের বিশেষ মুহূর্ত উদ্যাপন করছেন। সফরকালে দেশটির পাঁচটি শহরে কনসার্ট করার কথা থাকলেও এক আয়োজনে তিনি ভক্তদের চমকে দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশে তাহসান বলেন, এটাই আমার শেষ কনসার্ট। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটাও গুটিয়ে ফেলব। মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন কি স্টেজে দাঁড়িয়ে এমন লাফালাফি করতে ভালো লাগে?
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে নিজের সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ করেছেন। এ ঘোষণার পর অনেকেই খুঁজে দেখেছেন, সত্যিই তাহসানের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট অ্যাক্টিভ নেই।
আরওপড়ুন<<>>আইফোন ১৭ ‘উপহার’ পেলেন ফারিণ
প্রিয় শিল্পীর এ বিদায়ের সুরে মূহূর্তেই আবেগে ভেসে যান উপস্থিত দর্শকরা। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গান, নাটক ও উপস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া তাহসানের এমন বিদায় ঘোষণা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। এর আগে অভিনয় থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। গত বছর তাহসান বলেন, আমি ২০ বছর ধরে অভিনয়ে কাজ করছি। কখনও কখনও নিজেকেই নিজের বিরতি নিতে হয়। কাজ একঘেয়ে হয়ে গেলে, ভালো কাজ না হলে তখন থেমে যাওয়া জরুরি।
অভিনয়-সংগীত দুই ক্ষেত্র থেকেই ধীরে ধীরে সরে আসার পেছনে শারীরিক সমস্যাও বড় কারণ। কিছুদিন আগে তাহসান জানান, তার কণ্ঠনালিতে হেটেরোটোপিয়া নামের একটি রোগ বাসা বেঁধেছে। এ সমস্যায় গলার কাঠামো পরিবর্তিত হয়, গান গাওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা দুটোই কমতে থাকে।
২০১৮ সাল থেকেই সমস্যাটি শুরু হয়। তখন তিনি ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন, যত দিন যাচ্ছে আমার গান গাওয়ার সক্ষমতাও কমছে। যদি কোনোদিন দেখেন আমি কনসার্ট বা লাইভ শো কমিয়ে দিয়েছি, বুঝবেন সমস্যাটা বেড়েছে। তখন আমার জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, তাহসান খান ছায়ানট থেকে ছয় বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন। ১৯৯৮ কয়েকজন মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল ব্ল্যাক। ব্যান্ডের হয়ে গেয়েছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় গান। এরপর ২০০৪ সালে সোলো অ্যালবাম ‘কিছু কথা’ দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেন। পরে একক শিল্পী হিসেবে এবং ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’ ব্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার গাওয়া ‘চোখে চোখে কথা হতো’, ‘ভালবেসে কেউ ভুল করো না’, ‘যদি কোনোদিন’, ‘চলে যাও তবে’ ইত্যাদি গান বহু হৃদয়ে দাগ কেটেছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।