Apan Desh | আপন দেশ

কারামুক্ত হলেন কাবার সাবেক ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কারামুক্ত হলেন কাবার সাবেক ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিব

শায়খ সালেহ আল-তালিব

সৌদি সরকার সাত বছর পর মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিবকে মুক্তি দিয়েছে। তবে তিনি এখনও সম্পূর্ণ স্বাধীন নন। তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার পায়ে ইলেকট্রনিক মনিটর লাগানো আছে।

প্রিজনার্স অব কনসায়েন্স নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শায়খ সালেহ আল-তালিব এখনও গৃহবন্দি আছেন। তার পায়ে ইলেকট্রনিক মনিটর লাগানো আছে। এ সংস্থাটি সৌদির ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও আলেমদের গ্রেফতার-বন্দিত্বের ঘটনা মনিটর করে থাকে।

সৌদি নেতৃত্বের সমালোচনা ও মিশ্র লিঙ্গ কেন্দ্রিক এক বক্তৃতার কারণে ২০১৮ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন শায়খ সালেহ আল-তালিব। ওই বক্তৃতায় তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য ও ইসলামে নৈতিক দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন। বিশেষভাবে সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটি ও মিশ্র লিঙ্গের অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেছিলেন। এরপর থেকে তাকে আর কখনো প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন>>>পাকিস্তান-সৌদি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে চায় তেহরান

অবশ্য সৌদি সরকার কখনও কাবার ইমাম শায়খ সালেহ আল-তালিবের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ প্রকাশ করেনি। তবে এ বক্তৃতার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২২ সালে রিয়াদের বিশেষ আপিল আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।

তিনি ১৯৭৪ সালের ২৩ জানুয়ারি হুৎতাত বানী তায়মি পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। এ পরিবার বিশিষ্ট ইসলামি শিক্ষাবিদ, বিচারক ও গবেষকদের পরিবার হিসেবে পরিচিত-বিখ্যাত। শায়খ সালেহ আল-তালিব কোরআনের সুমধুর তেলাওয়াত ও বক্তৃতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অনলাইনে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। কারাবাসের আগে তিনি মক্কা, রিয়াদ ও অন্যান্য অঞ্চলে বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন।

শায়খ সালেহ আল-তালিবের মুক্তির ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, রাজপরিবারের সদস্য ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনামূলক মন্তব্যকারীদের গ্রেফতার বেড়ে গেছে। সৌদি সরকারের এ কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচিত হয়েছে। সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও কর্মীরা প্রায়ই তাদের মতামতের কারণে দীর্ঘ কারাদণ্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়