ছবি : আপন দেশ
আজ ২২ অক্টোবর, বুধবার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ ৯ম বারের মতো উদ্যাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’। দিবসটি উপলক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এদিন সকাল ১০টায় সড়ক ভবনের মূল গেইটের হাতিরঝিল থেকে এক র্যালি/শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১১ টায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, তেজগাঁও, ঢাকায় সড়ক ভবনের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী।
এছাড়া ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নিরাপদ ও উন্নত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অন্যতম নিয়ামক। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ ও আইন মেনে চলতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থী ও যুবসমাজের কার্যকর অংশগ্রহণ সড়কে দুর্ঘটনা, বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন<<>>‘নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব’
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রথাগত সড়ক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে গণআন্দোলনের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক, অবৈধ যানবাহন সড়ক নিরাপত্তার যে ঝুঁকি তৈরি করে, সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক তা উপলব্ধি করে এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা পূরণ অনেকটাই সহজ হবে।
প্রায় তিনদশক আগে এ দিনে বান্দরবানে শুটিংয়ে থাকা স্বামী ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের অদূরে চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন জাহানারা কাঞ্চন। সে থেকে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করে আসছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। ‘পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়’ এ স্লোগান নিয়ে গড়ে তুলেন সামাজিক সংগঠন-নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। নিসচার পক্ষ থেকে প্রতিবছর ২২ অক্টোবরকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানানো হয়।
২০১৭ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদন দেয়া হয়। সে থেকে প্রতিবছর দিবসটি উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি নিসচাসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































