
শহিদুল আলমের ফেসবুক থেকে নেয়া
সাহায্য পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে তাদের কয়েকটি নৌকাকে ইসরায়েলি জাহাজ ঘিরে ধরে ‘বিপজ্জনক ও ভয়প্রদর্শনমূলক কৌশল’ চালায়।
ইসরায়েলি ‘যুদ্ধজাহাজ’ দ্রুত এগিয়ে এসে বহরের আলমা ও সিরিয়াস নামের দুটি নৌকাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় সব নেভিগেশন ও যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এ বহরে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সেখান থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন।
বুধবার (০১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
আরও পড়ুন<<>>ইসরায়োলি সেনাদের হাতে আটক ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’
তিনি জানান, আমরা এখন ওসেনে আছি। মাত্র সংবাদ আসলো যে আলমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে সেখান থেকে সিগনালে আসা বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমরা সবাই একসঙ্গে জড়ো হয়েছি। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন জায়গায় আমরা রিপোর্ট দিতে চেষ্টা করছি। আলমা সবার প্রথমে ছিল। আমাদের জাহাজ সবচেয়ে বড় এবং নৌবহরের শেষের দিকে আছে। কাজেই আলমার সঙ্গে যা হচ্ছে, সেটা আমাদের ওপর হবে সেটা অনুমান করা যায়। সে কারণে এটা আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক দেশের মানুষ রয়েছে যে যার মতো তাদের নিজ দেশে জানানোর চেষ্টা করছে।
এর ২ ঘণ্টা পর আরেক ভিডিও বার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যায় সমুদ্র উত্তপ্ত হয়ে যায়, বজ্রপাত শুরু হয়। এ উত্তপ্ত সাগরের মধ্যে যতো দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছে এগিয়ে যেতে। আমরা সবচেয়ে পেছনে আছি। আমাদের ওপর কী আসবে সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল চেষ্টা করছে অন্যদের ওপর আক্রমণ করে আমাদেরকে সাবধান করার। তারা আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমরা সবাই এ ঝড়ের মধ্যে বাইরে এসে একসঙ্গে তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আপনারাও যে তাদের সঙ্গে আছেন, আমাদের সঙ্গে আছেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, সেটা আমাদের জানাবেন। আমরা তাদেরকে তা পৌঁছে দেবো।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।