Apan Desh | আপন দেশ

বিএসএফ দফায় দফায় আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করছে

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ৩০ মে ২০২৫

আপডেট: ১৯:৫৮, ৩০ মে ২০২৫

বিএসএফ দফায় দফায় আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করছে

ছবি সংগৃহীত

সীমান্তের বেড়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অপতৎপরতা। আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে তারা দুই দেশের শূণ্য রেখায় একেক সময় একেক ধরণের কাজ করছে।

গত ৫ আগষ্টের পর থেকে প্রতিবেশি এ দেশটির বৈরী আচরণের মাত্রা বেড়েছে। একদিকে বেশ কিছু পণ্য রফতানিবন্ধ, স্থল বন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে-এমনকি পুশইনের মতো গর্হিত কাজও করছে প্রতিনিয়ত। এবার ড্রেন কেটে পানি ছাড়ার চেষ্টা করেছিল। তবে বরাবরের মতো আবারও বিএসএফকে হটালো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

ফেনীর সীমান্তবর্তী বল্লামুখা এলাকার ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছে বিএসএফ। বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ করে দিয়েছিল নোম্যান্সল্যান্ডজুড়ে। ভারতের ত্রিপুরার বিলোনীয়া শহরের জমে থাকা বৃষ্টির পানি সরানোর চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে বিজিবি ও স্থানীয়দের বাধাঁর মুখে তারা সরে যায়। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাতের ঘটনা এটি।

ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন শুক্রবার (৩০ মে) ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএসএফ বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য ড্রেন নির্মাণ করছিল। কিন্তু কাজের কিছু অংশ নোম্যান্সল্যান্ডের (শূন্য রেখা) ২০ গজ এলাকার মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় আমরা বাধাঁ দিয়েছি। কারণ, শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাজ করতে হলে দু’দেশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করতে হবে।ফেনীর সীমান্তবর্তী বল্লামুখা এলাকার নোম্যান্সল্যান্ডজুড়ে ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছে বিএসএফ। বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ছবি-সংগৃহীত

পরশুরামের সীমান্তবর্তী স্থানীয়রা জানান, ওপারে  বিলোনীয়া শহর ও পুলিশ স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা  রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা  তৈরি হয়েছে। সেজন্য তারা পানি বের করার উপায়  খুঁজছে। বাংলাদেশের ভাটির দিকে পানি ছেড়ে দিতে  পারলে তাদের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন হবে; তাই তারা  এমন চেষ্টা চালিয়েছে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,  যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সতর্ক  রয়েছি। তবে বাসিন্দাদের অনুরোধ, ভয় বা আতঙ্কিত না  হয়ে সচেতন থাকতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক  প্রফেসর ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। এ  ব্যাপারে তিনি বলেন, সীমান্তে লাইট বন্ধ করে দিয়ে বিএসএফ’র আনাগোনা, স্কেবেটর রাখা এসব কিছু সন্দেহ  তৈরি করছে। বল্লামুখা বাঁধে যাতে বিএসএফ হাত দিতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  আমরাও চাই তারা (ভারতীয়রা) জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত  না থাকুক। ভাটির দিকে পানি দিবে, তবে সেটি আমাদের  ক্ষতি করে নয়।

এর আগে বুধবার (২৮ মে) ভোরে লালমনিরহাটের ৩টি  উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিএসএফ অন্তত ৫৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে  বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে। তবে তাদের এ প্রচেষ্টা  রুখে দিয়েছে বিজিবি এবং স্থানীয় জনতা। এর আগে গত  ৮ জানুয়ারি সকালে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বস্তাবর সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের  চেষ্টা করে। বিজিবির বাধাঁয় কাজ বন্ধ করে পিছু  হটে বিএসএফ। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়