
ছবি : আপন দেশ
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দেশটি নাতিশীতোষ্ণ বলেও পরিচিত। কিন্তু এ অঞ্চলে গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে গ্রীষ্ম, শীত ও বর্ষাই বেশি প্রতীয়মান হয়। জ্যেষ্ঠ মাসের অর্ধেক চলে গেছে। গ্রীষ্মের বিদায়ক্ষণও এগিয়ে আসছে। তবুও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তাপদাহ। গরমের অস্বস্তি দুর করে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সাত সকালে রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এতে জনজীবনে খানিকটা প্রশান্তি মিললেও দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী ও শ্রমজীবীরা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে বাতাস। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে পরিবেশ কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে অফিসগামী লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে, দেশের ছয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে দুপুর পর্যন্ত ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া অন্যান্য এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিনদিন দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।