Apan Desh | আপন দেশ

দ্রুত স্টারলিংকের লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ১৫ মার্চ ২০২৫

দ্রুত স্টারলিংকের লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত

দ্রুততম সময়ে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। স্পেসএক্স ও কাতারের রাজপরিবারের গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড এইচ গ্রিফিথস এ কথা জনিয়েছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্টারলিংকের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। প্রফেসর ড. ইউনূস স্টারলিংকের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এর লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছেন। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে, যা বিশ্বের দ্রুততম লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াগুলোর একটি হবে।

স্টারলিংকের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি মূলত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্কুল এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ উন্নয়নে কাজ করবে। রোহিঙ্গা শিবিরের মতো মানবিক সংকটপূর্ণ এলাকাতেও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হতে পারে।

মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে গ্রিফিথস জানান, প্রতিটি দেশের জন্য স্টারলিংক আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে, যা বাংলাদেশেও প্রযোজ্য হবে। তবে সরকার যেন অতিরিক্ত ফি ধার্য না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া, গ্রাহকদের জন্য টার্মিনাল ভাড়ার মডেল চালুর সম্ভাবনাও রয়েছে।

বাংলাদেশে স্টারলিংকের নিবন্ধনের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম ধাপটি হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা। একবার এটি থাকলে বাকিটা সহজেই হয়ে যায়। তাই এটি বড় একটি বিষয়। বাংলাদেশের সরকার কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে না বরং তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে, যা থেকে বোঝা যায় যে এটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। 

স্টারলিংকের তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ে গ্রিফিথস বলেন, স্টারলিংক বর্তমানে বিশ্বের ১১৪টি দেশে নিরাপদে পরিচালিত হচ্ছে এবং এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য অভিযোগ পাওয়া যায়নি। গুজব সবসময়ই থাকবে, তবে সেগুলোর পেছনে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকার কথা জানান তিনি।

এদিকে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদী গ্রিফিথস। তিনি বলেন, স্টারলিংকের আগমনের ফলে অন্যান্য মার্কিন কোম্পানির আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন সরকারের আগমনের পর পরিস্থিতি আরও ইতিবাচক হয়েছে।

ইলন মাস্কের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি সম্ভাবনা, তবে সময়সূচির ওপর নির্ভর করছে। গ্রিফিথস বলেন, যদি স্টারলিংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে, তাহলে মাস্ক তা সরেজমিনে দেখতে আগ্রহী হবেন। প্রফেসর ইউনূসের আমন্ত্রণের পর মাস্ক আগ্রহ দেখিয়েছেন। ড. ইউনূস ও ইলন মাস্ক একসঙ্গে থাকলে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশে স্টারলিংকের সফল কার্যক্রম কেবল ইন্টারনেট সংযোগকেই উন্নত করবে না, বরং দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন গ্রিফিথস।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়