Apan Desh | আপন দেশ

শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ২১ আগস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে 

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। দুই-একদিনের মধ্যেই পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে ইস্যু করা লাল পাসপোর্ট বাতিল করতে আদেশ জারি করা হচ্ছে। 

লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপির নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই কেবল মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তার সরকারের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ কেউ গ্রেফতার এড়াতে সরকার পতনের আগেই বিদেশে পাড়ি দেন।

ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্টধারী ছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী, সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। 

গত ৫ আগস্ট ভারত যান তিনি। ভারতের আইন অনুযায়ী আর ২৯ দিন দেশটিতে থাকতে পারবেন শেখ হাসিনা। যদি না এর মধ্যে সে পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা প্রত্যাহৃত হয়। তাই বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত, ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোন ব্যবস্থা নেয়ারও প্রয়োজনও নেই। 

অন্যদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী। ফলে তিনি ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবেন। এ সুবিধায় তিনি যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারবেন।

পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রী-এমপিরা সংসদের মেয়াদকাল অর্থাৎ পাঁচ বছরের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) পেয়ে থাকেন। সংসদের মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়ে যায়। 

তবে মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিলের আদেশ এলে সাধারণত বাতিল করা হয়। এরপর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ রঙের) পাওয়ার অধিকার রাখেন। 

তবে কারও নামে যদি ফৌজদারি মামলা থাকে তবে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা থাকলেই কেবল তিনি সাধারণ পাসপোর্ট প্রাপ্ত হবেন।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা সংসদ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টের বৈধতা শেষ হয়ে যায়। সাধারণত কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সে পাসপোর্ট সারেন্ডার করে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন। 

আপন দেশ/এইউ
 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়