ফাইল ছবি
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৪ সালের এ দিনে ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বালাদেশের চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টার জন্য তিনি ‘শিল্পাচার্য’ উপাধি লাভ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ শিল্পীকে ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎ বলে ধরা হয়ে থাকে।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে জয়নুল আবেদিনের করা স্কেচগুলো ছিল অনবদ্য। এ দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সস্তা প্যাকিং পেপারে চায়নিজ ইঙ্ক ও তুলির আঁচড়ে ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’ নামে জয়নুলের এ ছবিগুলো জয়নুলকে সারা বিশ্বে তাকে পরিচিত করে তোলে।
এছাড়াও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে গ্রাম বাংলার উৎসব নিয়ে আঁকা ৬৫ ফুট দীর্ঘ ‘নবান্ন’, এবং ‘মই টানা’, ‘গুন টানা’, ‘সাঁওতাল রমণী’, ‘সংগ্রাম’, ‘বিদ্রোহী’ প্রভৃতি অন্যতম- যা ছিল তার সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের প্রতীক।
আজ, সোমবার সকাল ১১টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে চারুকলা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হালিম চঞ্চলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ে শিল্পচার্যের সমাধিতে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ ‘পুষ্পস্তবক অর্পণ’ করা হয়। এ সময় অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা-শিল্পী ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































