ছবি: আপন দেশ
রাজনীতির সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ রূপ হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতিতেই দেশের জীবনব্যবস্থা, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে। বলেছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বরং পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঠিক সে সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। শত শহীদের মত তিনিও শহীদ হতে পারতেন, কিন্তু আল্লাহ তাকে জীবিত রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে আবার নিজ পেশায় চলে গিয়েছিলেন রাজনীতিতে আসেননি। নানান বিবর্তনের মধ্যে এক সময় সিপাহি-জনতা ৭ নভেম্বরে তাকে আবার সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশের হাল ধরেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ ও ত্যাগ আজও বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা দেয়।
আরওপড়ুন<<>>শহিদুল আলমের প্রশংসায় ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, মানুষের হৃদয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তার সহধর্মিণী পরবর্তীতে আপসহীন নেত্রী হিসেবে শুধু জাতির কাছেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া। এ কারণেই আমরা তাকে (বেগম জিয়া ) আপসহীন বলি। শত নির্যাতন, শত হামলা-মামলা কোনোটাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ‘এরশাদকে যেতে হবে’—এ প্রতিশ্রুতি তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন এবং তা পালন করেছিলেন। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই এরশাদকে বিদায় করা হয়েছিল।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬ বছর ধরে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। হাসিনার স্বৈরশাসন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে শয়তানও হয়ত তার তুলনায় কম ভয়ংকর মনে হয়। তাকে বিদায় করার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, গুম-খুন, দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অচল অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ‘সাচ্চা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ জরুরি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মতিহার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ, অভিনেতা এ বি এম সোহেল রশিদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আলমগীর, সাংবাদিক আকাশমনি প্রমুখ।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
