Apan Desh | আপন দেশ

রিমান্ডের আদেশ শুনে কাঠগড়ায় বেহুশ মার্কিন নাগরিক এনায়েত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৭:৪৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রিমান্ডের আদেশ শুনে কাঠগড়ায় বেহুশ মার্কিন নাগরিক এনায়েত

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর পরিবারের অর্থপাচার মামলায় অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ তার রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডের আদেশ শুনেই অসুস্থ হয়ে কাঠগড়ায় রাখা বেঞ্চে ঢলে পড়েন এনায়েত করিম। পরে পুলিশ সদস্যদের কাঁধে ভর দিয়ে হাজতখানায় যান তিনি।

এর আগে আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ পুলিশ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী মিসেস জীশান মীর্জা, বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেঝো মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার অনুসন্ধান চলাকালে বেনজীরের অর্থপাচারের সঙ্গে আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা পায় দুদক।

আরওপড়ুন<<>>শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার শেষ সাক্ষ্য গ্রহণ আজ

এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে স্ত্রী-কন্যারাসহ বেনজিরকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদে উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থ উত্তোলনের পরই বিদেশে চলে যান। ফলে নগদে উত্তোলিত অপরাধ লব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন সাবেক এ আইজিপি।

এছাড়া বেনজির ও তার স্ত্রী-কন্যারা ২০২৪ সালে বিভিন্ন সময় তাদের নামে দীর্ঘদিনের এফডিআর হিসাব মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই একযোগে উত্তোলন করেছেন। এ এফডিআরের অর্থের গ্রহণযোগ্য কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। যা বেনজীর আহমেদ র‌্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এ অর্থ উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।

আপন দেশ/এমএইচ
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়