 
										ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় হামলা চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে ইসলায়েল। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই যুদ্ধবিরতির ভসিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এমন উত্তেজনার মধ্যেই আরও ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত পাঠাল হামাস।
স্থানীয় সশয় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে তেল আবিবের কাছে দুই জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেরত দেয়া দুই জিম্মি হলেন—৮৪ বছর বয়সী আমিরাম কুপার ও ২৫ বছর বয়সী সাহার বারুখ। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের লাশ বুঝে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিচয় নিশ্চিত করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুত্স নির ওজ থেকে কুপারকে অপহরণ করেছিল সশস্ত্র হামাস সদস্যরা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দিদশায় মারা যান, যা গত জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন<<>>যুদ্ধবিরতি বহাল রাখাতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
অন্যদিকে, একই দিনে কিবুত্স বেয়েরি থেকে অপহৃত হন সাহার বারুখ। আইডিএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ব্যর্থ উদ্ধার অভিযানে তিনি নিহত হন। দুইজনের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে।
গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। ওইদিন হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০ জীবিত জিম্মির লাশ ফেরত দেয়। এরপর ধীরে ধীরে মৃত জিম্মিদের দেহও হস্তান্তর শুরু করে সংগঠনটি।
তবে গাজার ভেতরে যেসব স্থানে হামাস জিম্মিদের দেহ লুকিয়ে রেখেছিল, তার অনেক জায়গাই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে মৃতদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে।
এরই মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুধু বুধবার রাতেই দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০৪ জন ফিলিস্তিনি, আর পুরো সপ্তাহে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১৬০।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের হামলা ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রচেষ্টার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































