
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে নিতে সম্মত হয়েছে হামাস। তারপরই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে আগ্রাসন বন্ধে নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে আবারও গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। দখলদারদের হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। এতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
হামাস বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমানোর দাবি করলেও বাস্তবে ইসরায়েল তার আগ্রাসন থামায়নি। শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি এ প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি জানায়, নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান কমানোর বিষয়ে যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে এ রক্তক্ষয়ী হামলা।
হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে, তারা যেন আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ত্রাণ সহায়তা জোরদার করে এবং দুই বছর ধরে চলা “নিধনযজ্ঞ” ও গণঅনাহার বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ায়।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে ৭০ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন<<>>জিম্মি মুক্তিতে সম্মত হামাস, বোমাবর্ষণ বন্ধের আহবান ট্রাম্পের
এর আগে শুক্রবার (৩৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে” ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানান। কারণ হামাস তার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাস “টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত।”
এছাড়া শনিবার মিসর ঘোষণা করেছে, সোমবার সেখানে ইসরায়েলি ও হামাস প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে এবং সেখানে ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৭ হাজার ৭৪ জনের। বোমায় বিধ্বস্ত উপত্যকায় এখন চরম দুর্ভিক্ষ ও খাদ্যসংকট বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পুষ্টিহীনতা ও খাদ্যাভাবজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে অনাহারে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ জনে, যাদের মধ্যে ১৫৪ জন শিশু।
এদিকে, শনিবারের হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি।।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।