Apan Desh | আপন দেশ

গাজায় অধিকাংশ মানুষ না খেয়ে আছে: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৯ জুলাই ২০২৫

গাজায় অধিকাংশ মানুষ না খেয়ে আছে: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধার্ত। অনাহারে আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বরাত দিয়ে সোমবার (২৮ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন, মানবিক ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

গাজার মানুষ ক্ষুধার্ত থাকার বিষয়টিকে 'বাস্তবতা' বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। অথচ রোববার (২৭ জুলাই) ট্রাম্পের মিত্র ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, গাজায় কোনো ক্ষুধার্ত মানুষ নেই। পাশাপাশি তিনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য তাকে নেতানিয়াহুর বচনের বিপরীত দিকে বসিয়েছে, যা বেশ বিরল। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নেতানিয়াহুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলেছেন ট্রাম্প।

সোমবার নেতানিয়াহু স্বীকার করে নেন, গাজার পরিস্থিতি বেশ জটিল। তিনি জানান, তার দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।

আরওপড়ুন<<>>ইসরায়েলি হামলায় ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত, অনাহারে মৃত্যু ১৪ জনের

নেতানিয়াহু বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। যাতে গাজা উপত্যকায় বড় আকারে মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানো যায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার জন্য স্কটল্যান্ড সফরে আছেন ট্রাম্প। তিনি সেখান থেকে বলেন, ত্রাণের প্রবাহ নিশ্চিত করায় ইসরায়েলের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। দেশটি এই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে অনেক মানুষ প্রাণে বাঁচবে।

সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণের প্রবাহ বাড়াতে 'কৌশলগত যুদ্ধবিরতি' ও নিরাপদ করিডোর চালুসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তা সত্ত্বেও, এখনও গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের সন্তানদের জন্য একমুঠো খাবার জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

গাজার দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার ছুঁইছুঁই। এ পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিরা অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে প্রাণ হারাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে, ক্ষুধার্ত ও অনাহারে থাকা শিশুদের ছবি বিশ্ববাসীকে উৎকণ্ঠায় রেখেছে এবং ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। সূত্র: রয়টার্স

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়