
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাজিলেররিও ডি জেনেইরোতে শুরু হয়েছে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলন। জোটের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ইতোমধ্যে শহরটিতে জড়ো হচ্ছেন। তবে এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
রোববার (০৬ জুলাই) শুরু হওয়া এ সম্মেলনে জোটটি নিজেকে পশ্চিমা আধিপত্যের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি ও পশ্চিমা অর্থনৈতিক চাপই মূল প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিকস নামটি এসেছে প্রাথমিক পাঁচ সদস্য—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এ দেশগুলোর নামের প্রথম অক্ষর থেকে।
২০১২ সালে পর প্রথমবারের মতো অনুপস্থিত চীনা প্রেসিডেন্ট। তার পরিবর্তে প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কোয়াং। এছাড়া সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুপস্থিতি গোষ্ঠীর ঐক্য এবং প্রভাব নিয়েও তুলেছে প্রশ্ন।
আরওপড়ুন<<>>গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধে ভূমিকার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে পুতিনের উপস্থিতি সম্ভব হয়নি। কারণ ব্রাজিল রোম সংবিধির স্বাক্ষরকারী হিসেবে তাকে আটক করার বাধ্যবাধকতায় পড়তো।
এ সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ে রয়েছে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি। কিছু সদস্য দেশ গাজায় ইসরায়েলের পদক্ষেপ এবং ইরানের ওপর হামলার বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় অবস্থান নেয়ার আহবান জানাচ্ছে।
২০০৯ সালে গঠিত হয়েছিল ব্রিকস। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১-তে। এর নতুন সদস্যা হলো- সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
উল্লেখ্য, ব্রিকস এখন বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা, মোট ভূমির ৩৬ শতাংশ এবং বিশ্ব অর্থনীতির এক চতুর্থাংশ প্রতিনিধিত্বের দাবি করলেও বাস্তবে এর কার্যকারিতা নির্ভর করছে ভবিষ্যতে সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ঐকমত্য ও সমন্বয়ের ওপর।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।