ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসনের পর গত জানুয়ারি মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তারপরও প্রতিদিনই নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৪৫০ জনে। স্থানীয় সময় বুধবার (০৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৪০ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে গত ৪৮ ঘণ্টায় চারজন ফিলিস্তিনি এবং আগে আহত আরেক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এ সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৫ জন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































