জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া
আমি আর আমার নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না। আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসাবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না। কথাগুলো বলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাউড প্রোফাইলে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অভিনেত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া বন্ধ করলাম। কারণ ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসাবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না।
পোস্টে শবনম ফারিয়া বলেন, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ যে ক্ষমতা পাবে সে তার অসৎ ব্যবহার করবে। আমি আর আমার নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না।
তিনি বলেন, একটা গল্প আছে না, শীতের সকালে একজন ইমাম আর একজন চোরের? ইমাম ভাবে, কি ভালো একটা মানুষ এ ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পরতে এসেছে! চোর ভাবে, কি ভদ্রলোক দেখতে, দাড়ি দুড়ি রেখে আবার চুরি করে! এ গল্প থেকে আমরা কি শিখেছিলাম? যে যেমন, যার চিন্তাধারা যেমন, অন্যদেরও তাদের সেইম মনে হয়!
ফারিয়া বলেন, কিন্তু বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সব মানুষ টাকার (ডলারও পড়তে পারেন) কাছে তাদের “এথিক্স” বিক্রি করে না। দুনিয়ার “সব মানুষের” কাছে টাকাই “সব” না। মানুষ স্রোতের বিপরীতেও যায়। রিস্ক নেয়।
এরপর জুলাইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে অভিনেত্রী বলেন, জুন মাসে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, ইন্টারনেট চলে যাওয়ার পরপর যেসব সেলিব্রিটিদের কাছে , মেট্ররেল/বিটিভিতে আগুন দেয়ার প্রতিবাদ করার জন্য ভিডিও বানাতে বলা হয়, আমিও তাদের মধ্যে একজন। আমি প্রথমে সময় চাই, বলি ভেবে জানাবো। স্বাভাবিক, সে সময় ডিরেক্ট না করার মতো সাহস যোগার করতে পারিনি। তারাও বলে সময় নেন, আপাতত এমনেই ইন্টারনেট নাই। যেহেতু হোয়াটআপ বন্ধ, তাও সিয়ামকে মেসেজ দেই- ‘তুমি কি কল পেয়েছো?’। সে আমাকে জানায়, পেয়েছে এবং না করেছে। তখন আমিও সাহস পাই এবং না বলে দেই।
ফারিয়া বলেন, এসব কথা অযথা বলে বেড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। সেসময় এটাই করার কথা, না বলেছি বলে আমি বিশেষ কোনো ক্রেডিট নিতে চাইনি। যেহেতু আমি ব্যাক্তিগতভাবে রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত না, অদূর ভবিষ্যতেও কোনো ইচ্ছা কিংবা পরিকল্পনা নেই তাও যখন দেখি কেউ লেখে ‘এরা তো ডলার খাইছে’ মার্কা কল্পনিক গল্প, হাসা ছাড়া কিছু করার থাকে না।
অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি যারা মন থেকে আওয়ামী লীগ ভালোবাসে। কিন্তু জুলাইতে লাল ডিপি দিসিলো। হয়তো জুলাইকে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যেভাবে সে সময় পোট্রে করা হইছে এখন বিষয়টা তেমন নাই, কিন্তু সেসময় আপনি যদি মানুষ হয়ে থাকেন, অমানুষ না হোন তাহলে আপনি কোনো মানুষকে হত্যা করার প্রতিবাদ না করে থাকতে পারতেন না, আপনার রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা মতাদর্শ যাই হোক।
পরিশেষে বলতে চাই, সত্যি সত্যি ডলার পেলে আসলে ভালোই লাগতো। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে ২৫৩০০ টাকা দিয়ে ২০০ ডলার পাসপোর্টে এন্ডোরর্স করতে খুবই কস্ট হইছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































