Apan Desh | আপন দেশ

সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে

ছবি : আপন দেশ

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া এবং তিন শিক্ষক নেতাকে শোকজ নোটিশ প্রদান করায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

শিক্ষকদের এ কর্মসূচির কারণে টানা তৃতীয় দিনের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ থাকছে। 

মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়ার পর ২২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে শাটডাউনসহ সব পরীক্ষাবর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। উল্টো আমাকে এবং অন্য দুই শিক্ষক নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। তাই দেশব্যাপী আন্দোলন আরও জোরদার করা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই।

সংগঠন সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটমেন্ট অনুযায়ী অন্তত সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডসহ তিন দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে দাবি উপস্থাপন করায় দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক মো. আবুল কাসেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান এবং ২০২৩ ও ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষকদের শোকজ নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদেও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন<<>>‘পরীক্ষা না নিলে শিক্ষকরা শাস্তির মুখে পড়বেন’

এ ঘটনায় দেশের প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে বুধবার বেলা ১১টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে শিক্ষকরা। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দফা দাবি হচ্ছে — 

১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।

২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা।

৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এখানে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা ইতোমধ্যে দশম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনও ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।

এর আগেও গত ৮ থেকে ১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে ফেরেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়