
ছবি: আপন দেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপাচার্যের বাসার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড সংলগ্ন উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় ‘নকীব তুমি গদি ছাড়ো, স্বজনপ্রীতি বন্ধ করো’, ‘নকীবালয়ের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘পাকিস্তানি নিয়োগ, মানিনা মানবো না’, ‘ছাত্রদলের নিপীড়ন, মানিনা মানব না’, ‘স্বজনপ্রীতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা জানান, আমরা খোঁজ পেয়েছি- মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েও বাদ পড়ছেন, কিন্তু যার অবস্থান ৭তম তারা কিভাবে উত্তীর্ণ হয়? এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এ সময় শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড নিয়ে নানা অভিযোগের কথা জানিয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের বোর্ড বাতিলের দাবিও তোলেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা।
আরওপড়ুন<<>>রাকসু-হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু
রাবি ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ৯ম স্থানে থাকা প্রার্থীদের বাছাই করা হয়েছে—যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ও সুস্পষ্ট স্বজনপ্রীতির নজির। নকীব স্যারের এমন বৈষম্যমূলক কার্যক্রম শিক্ষাঙ্গনের জন্য লজ্জাজনক। ৫ আগস্টের পরই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল, কিন্তু এখনও বেহায়ার মতো চেয়ারে বসে আছেন। আমরা দুর্নীতিবাজ ভিসির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।
ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষক নিয়োগের একটা পাঁয়তারা চলছে। যারা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। ১৭ বছর যারা রাজপথে ছিল এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলল, তাদের বেছে বেছে লিখিত পরীক্ষার বাতিল করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ভেঙে লিখিত পরীক্ষায় যারা যোগ্য ক্যানডিডেট তাদের বাদ দিয়ে বাইরের প্রার্থীকে নিয়োগ দিচ্ছে।
জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, আমরা দেখেছি যে, লিখিত পরীক্ষার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বাদ পড়ে যাচ্ছে। আমার বিভাগের এক শিক্ষার্থী যে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, আমার মতে সে যথেষ্ট যোগ্য। কিন্তু তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাই আমরা লিখিত পরীক্ষা বন্ধ চাচ্ছি এবং যে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ না করে আমরা আগামীকাল (সোমবার) থেকে অনশন ধর্মঘট করব।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।