Apan Desh | আপন দেশ

মুন্নী সাহাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৩০ জুলাই ২০২৫

মুন্নী সাহাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগের অনুসন্ধান হিসেবে টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধান কার্যালয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাবেকুল নাহার পারুলের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে ২ জানুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানানো হয়েছিল সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেনের মাধ্যমে।

এরপর দুদকের আবেদন অনুসারে গত ১৬ জুলাই মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেনের ৩১টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এসব হিসাবের মধ্যে ১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। ফ্রিজ হওয়া এই ৩১টি ব্যাংক হিসাবের কয়েকটিতে এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান তপন কুমার সাহা ও তার মা আপেল রানী সাহার সঙ্গে মুন্নী সাহার যৌথ মালিকানার হিসাবও রয়েছে। ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন দেন সংস্থাটির উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত।

অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার সময় মুন্নী সাহার আমানত থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন হয়েছে। বর্তমানে স্থগিত থাকা হিসাবের মধ্যে মাত্র ১৪ কোটি টাকা রয়েছে। এসব লেনদেন ১৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছে। অনিয়মিত লেনদেনের অভিযোগে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) জব্দ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০১৭ সালের ২ মে বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় মুন্নী সাহার স্বামী কবির হোসেনের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নমিনি হিসেবে মুন্নী সাহার নাম রয়েছে।

অন্যদিকে, ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় ২০০৪ সালের ২১ জুলাই জনৈক মাহফুজুল হকের মালিকানায় প্রাইম ট্রেডার্স নামে একটি হিসাব খোলা হয়। উভয় প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেয়া হলেও ঋণ পরিশোধ না করে বারবার সুদ মওকুফ এবং নবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে একবার ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করা হয়। এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের হিসাবের মধ্যে বিপুল অংকের লেনদেন হয়েছে বিভিন্ন তারিখে।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর গত ৫ আগস্ট, ৬ অক্টোবর বিএফআইইউ মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব করে। গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকার শান্তিনিকেতন ও রোজা গ্রিনে মুন্নী সাহার নামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি থাকার কথাও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

উল্লেখ্য, মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু হয়েছিল ভোরের কাগজ থেকে। এরপর তিনি একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন এবং পরে এটিএন বাংলায় কাজ করেন। তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা টেলিভিশনের পর্দায় তুলে ধরেছেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়