ছবি : আপন দেশ
হেমন্তকে বিদায় জানিয়ে শিগগিরই আগমন ঘটবে শীতকালের। তার আগেই দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন খানিকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৮৪ শতাংশ ছিল। অপরদিকে সকাল ৬টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন সকালে বাহিরে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামীণ এলাকায় মানুষজন গরম কাপড় ও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোশকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ পিঠার স্বাদ উপভাগ করছেন।
আরও পড়ুন<<>>বিআরটিসির ২ বাসে আগুন
অপরদিকে, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস । যা বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ক্রমশই কমেছে। তবে সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি আরও বাড়তে পারে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































