
ছবি : আপন দেশ
চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের বাকসা বাইদ গ্রামের কাঁচা রাস্তা। গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না জরুরি সেবার কোনো গাড়ি। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকার প্রাইমারী স্কুল, মাদরাসা যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায় শিক্ষার্থীর। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে ওই গ্রামের বাসিন্দাসহ আসেপাশে কয়েকগ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটি মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন চেয়ারম্যান স্থানীয়দের চলাচলে এই কাঁচা সড়কটি নির্মাণ করেন। ৯০ দশকে একবার কাবিখা প্রকল্পের অধীনে মেরামত করা হয়। এরপর এত বছর পরও সংস্কার করা হয়নি রাস্তাটি। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও পর আর তাদের দেখা মেলে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার, প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি। তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বাকসা বাইদ গ্রামের এ সড়ক দিয়ে আবুয়ার পাড়া হয়ে শিমুলচড়া, চাংপাড়া, চরশিমুলচড়া কান্দরপাড়াসহ অন্তত ৫/৬ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কের বেহাল দশার ফলে যাতায়াতকারীরা চরম দুভোগে পড়ছেন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এলাকাবাসী অভিনবভাবে রাস্তা মাঝে ধানের চারা পুতে প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা চান মিয়া সরকার বলেন, বহু বছর আগে এই কাঁচা রাস্তাটি নির্মাণ করে দেন। সামান্য বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।
স্থানীয় বাকসা বাইদ সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমান উল্লাহ আপন দেশকে বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা উত্তর শিমুলচড়া প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক শিল্পী বেগম বলেন, এ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে ৪/৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটি বৃষ্টির দিনে রাস্তাটি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
৬ নং সদর ইউনিয়নের মেম্বার মোকছেদ আলী আপন দেশকে বলেন, এ সড়কটি পরিচিতি নম্বর ছিল না। আমি সাধ্যমত চেস্টা করছিলাম। পরবতীতে সরকার পতন হয়। আর কাজ এগিয়ে নিতে পারি নাই। সড়ক অবস্থা নাজুক।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুজ্জামানের ফোনের কয়েকবার ফোন দিও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ আপন দেশকে বলেন, এ সড়কের এমন অবস্থা আমার জানা ছিল না। সদর ইউনিয়নের এমন রাস্তা খুবই দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।