
ছবি: আপন দেশ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ভাবিকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে লম্পট দেবর। এ ঘটনার কিছুদিন পর ধর্ষকের মোবাইল ফোনে ওই ভিডিও চিত্র দেখতে পায় তার স্ত্রী। ঘটনাটি স্থানীয় টাউট মাতব্বর মাইদুল ইসলামকে দেখান তিনি। মাইদুল ওই ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষিতার কাছ অর্থ হাতানোর পাঁয়তারা শুরু করেন। পরে ওই ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে গ্রাম্য মাতব্বরা ধর্ষক ও নির্যাতিতা নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া ওই নারীর মাথার চুল কেটে দেন মাতব্বররা।
লম্পট ওই যুবকের নাম সুরুজ্জামান (৩৫)। সে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উত্তর সাদুল্যা রসুলপুর গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরুজ্জামানের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তার ভাবিকে ডেকে নেয় সে। এক পর্যায়ে সুরুজ্জামান ভাবিকে ধর্ষণ করে তা মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। এ ঘটনার কিছুদিন পর ধর্ষকের স্ত্রী মোবাইলে ওই ভিডিও দেখতে পায়।
আরওপড়ুন<<>>কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত প্রতিবেশি দাদা
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। পরে মাইদুল ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর কলহ মেটাতে গেলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এর পর মাইদুল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে উভয়পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার (০৬ মে) রাতে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠকে বসে স্থানীয় মাতব্বররা। সালিশে মাইদুলেল নেতৃত্বে সেকেন্দার আলী, শাহীন মিয়াসহ ৫ জনের বোর্ড গঠন করে। বোর্ড ধর্ষিতা নারীকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ মাথার চুল কেটে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর ধর্ষক সুরুজ্জামানকে ২০ বেত্রাঘাত করার সিদ্ধান্ত দেয়। পরে মাতব্বরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ষিতার মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, স্থানীয় মাতব্বররা অন্যায়ভাবে আমার চুল কেটে দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি, ভিকটিম চাইলে আইনি সহায়তা করা হবে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।