
মোসাম্মৎ সাগরিকা
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে মেয়েদের অংশগ্রহণ মোটেও সহজ ছিলনা। সামাজিক নানারকম বাঁধা ডিঙ্গিয়ে, প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তবেই আসতে হয় খেলায়। মোসাম্মৎ সাগরিকার ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। সব বাঁধা পেরিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রাম থেকে আজ দেশের তারকা ফুটবলার সাগরিকা।
ঘরোয়া নারী ফুটবল লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তিনি সুযোগ পান জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে। গত বছর কমলাপুর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৪ গোল করেছিলেন সাগরিকা। এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে করেছেন ৮ গোল। অলিখিত ফাইনালে পরিণত হওয়া নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। অথচ তিন ম্যাচে খেলতে পারেননি। ছিলেন নিষিদ্ধ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাগরিকা বললেন, তিনটা ম্যাচ খেলতে পারিনি, তারপরও সেরা খেলোয়াড় হতে পেরেছি, তাতেই বাবা অনেক খুশি।
মেয়ের খেলা দেখতে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রাম থেকে ঢাকা আসতে চেয়েছিলেন সাগরিকার বাবা লিটন আলী। কিন্তু ঢাকায় থাকার জায়গা না থাকায় আসতে পারেননি। সাগরিকা বললেন, আমার বাবা আসতে চেয়েছিল খেলা দেখতে। কিন্তু ঢাকায় কোনো থাকার জায়গা নেই, তাই বাবা আসতে পারেনি। আর মাও একটু অসুস্থ ছিল।
একাদশে নিয়মিত থাকার বিষয়টি সাগরিকা ছেড়ে দিলেন কোচ পিটার বাটলারের ওপর, আমি কেমন পারফরম্যান্স করছি তা তো নিজে বলতে পারব না। এটা নির্ভর করছে কোচের ওপর। কোচের যদি মনে হয় যে আমি ভালো পারফরম্যান্স করতেছি আমাকে সেরা একাদশে নামানো উচিত, তাহলে আমি ভালো কিছু করতে পারব।
তিনি আরও যোগ করেন, অবশ্যই আমার আত্মবিশ্বাস আছে সিনিয়র দলে খেলার। আপুদের মতো খেলতে পারি না। তবে তার চেয়ে বেটার পারফরম্যান্স করলে অবশ্যই একদিন শুরুর একাদশে থাকতে পারব।
এবার এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়েও ভালো করতে চায় মেয়েরা। ‘এইচ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ৬ লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া ও পূর্ব তিমুর।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।