
বাংলাদেশের মেয়েদের গোল উৎসব। ছবি: বাফুফে
ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে আজ তুর্কমেনিস্তানকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধেই ৭ গোল করে ফেলে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা ও স্বপ্না রানীকে ঘিরে হয়েছে এ গোল উৎসব। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের সবচেয়ে বড় জয় নিয়েও গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। তাতে কী, ৭-০ ব্যবধানও কম নয়!
শনিবার (০৫ জুলাই) তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়মরক্ষার। তবে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও প্রতিপক্ষকে এতটুকুও ছাড় দেয়নি পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
শক্তিশালী বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ‘উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব’ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। এরপর ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচেও সেরা একাদশ অপরিবর্তিত রাখলেন কোচ পিটার জেমস বাটলার। শতভাগ জয় দিয়ে উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাই শেষের তাড়নাও ম্যাচ শুরু হতেই ফুটে উঠলো। প্রথমার্ধেই সাত গোল করলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র-ঋতুপর্ণারা। তুর্কমেনিস্তানকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে বড় জয়ের আনন্দ নিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করলো বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের ইয়াংগুনে শনিবার ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পরে আর জালের দেখা পায়নি কেউ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয় পায় ৭-০ গোলে। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে বাছাই শেষ করার স্বপ্নও পূরণ হয়েছে জেমস বাটলারের দলের।
দলের বড় জয়ের পথে জোড়া গোল করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা ও তহুরা খাতুন।
এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ, এ খবরটা যখন মেয়েদের কাছে পৌঁছায়; তখন তারা বলেছিলেন তুর্কমেনিস্তানকে হারিয়েই উল্লাস করতে চান। তাদের সে চাওয়াটা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হলো।
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে শুরুটাও করে দাপটের সঙ্গে। গোল উৎসবের শুরু হয় চতুর্থ মিনিটে। তহুরার কাট ব্যাকে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্বপ্না। দুই মিনিট পরই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। সতীর্থের ক্রসে আফঈদার হেড গোলকিপার ফেরানোর পর, বক্সে জটলার ভেতর থেকে নিখুঁত টোকায় জালে বল জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ডান দিক থেকে শামসুন্নাহার সিনিয়রের ক্রস ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক, আলগা বল অনায়াসে জালে পাঠান শামসুন্নাহার জুনিয়র। একটু পরই বক্সের ওপরে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় একটু এগিয়ে দৃষ্টিনন্দন শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন মনিকা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।