
ছবি: সংগৃহীত
স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তবে বাংলার বাঘিনীদের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। বাহরাইন-তুর্কমেনিস্থান ম্যাচ ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই মূলপর্বে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশেরে মেয়েরা।
বুধবার (০২ জুলাই) ‘সি’ গ্রুপের এক ম্যাচে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। একই গ্রুপের অপর ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে তুর্কমেনিস্তান ড্র করায় প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিলো লাল সবুজরা।
এএফসি’র নিয়মানুযায়ী দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধানের আগে বিবেচনায় আসে মুখোমুখি ম্যাচের ফলাফল। বাহরাইনের পর মিয়ানমারকে হারানোয়, এ দুই দল বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট পেলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো না।
বাকি ছিল তুর্কমেনিস্তান। কিন্তু দুই ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট মাত্র ১ হওয়ায় আগেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় তারা। ফলে শেষ ম্যাচের ফলাফল কোনো কাজেই আসছে না।
আরওপড়ুন<<>>ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে কুপোকাত মিয়ানমার
মিয়ানমারের কাছে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আজ বাহরাইনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে তুর্কমেনিস্তান। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর আজ মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলার বাঘিনীরা।
সব দলের দুই ম্যাচ শেষে গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল দাঁড়ায়, ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ, ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মিয়ানমার, সমান ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাহরাইন আর চারে তুর্কমেনিস্তান। আর তাতেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশের মেয়েরা।
এর আগের আসরগুলোতে বাছাইপর্বে একটি ম্যাচও জেতেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে এবার পিটার বাটলারের অধীনে তারা ইতিহাস গড়ল।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় ১২ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। আয়োজক দেশসহ চার দল আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছিল। আর বাকি ৮ দলের ভাগ্য নির্ধারণ হতো বাছাইপর্বে। যেখানে ৮ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলই মূল পর্বের টিকিট পাবে। ‘সি’ গ্রুপ থেকে সেখানে বাজিমাত করেছে ঋতুপর্ণা-আফঈদারা।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।