
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তারা ছিলেন বন্ধু। দেড় দশকে তাদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়েছিল। তবে বছর কয়েক ধরে তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই, হয়না কথাও। বলছিলাম সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের কথা। দেশের ক্রিকেটের সেরা দুই তারকাই এখন জাতীয় দলের বাহিরে রয়েছেন। তামিম অবসর নিলেও, এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি সাকিব।
দীর্ঘ দিন ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে শীর্ষে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অনন্য এক ক্যারিয়ার গড়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তার পারফরম্যান্স কেবল ক্রিকেটেই নয়—বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসেও এক বিরল উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে তাকে।
অনেকের চোখে এ নিয়ে দ্বিধা থাকলেও টাইগার সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সেটা মানতে নারাজ। তাই তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ স্পষ্টভাবে বলেছেন—বাংলাদেশের ইতিহাসে যদি একজন ক্রীড়াবিদের নাম নিতে হয়, তবে সেটা হতে হবে সাকিব আল হাসান।
সম্প্রতি এক আলোচনায় সাকিবকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা শেয়ার করেন তামিম। দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে অনেক গুঞ্জন থাকলেও তামিম তা পাত্তা দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক সবসময়ই ইতিবাচক ছিল। অনেকেই বলে আমরা দুজন তারকা, তাই দ্বন্দ্ব হয়েছে। আমি সেটা মনে করি না। এটা তো তখনই হতো যদি আমি নিজেকে সেরা দাবি করতাম। বরং আমি তো বলছি, সাকিবই বাংলাদেশের সেরা।
তামিম বলেন, এটা প্রথমবার বলছি না। বরাবরই বলেছি—বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যদি একজনের নাম নিতে হয়, সেটা হবে সাকিব আল হাসান। এতে কোনো সন্দেহ নেই। ক্রিকেটের দিক থেকেও সে যেসব অর্জন করেছে, তা অবিশ্বাস্য। এটা স্বীকার না করার কিছু নেই। সম্পর্ক যেমনই হোক, সত্য তো সত্যই। সে সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদ।
সাবেক এ অধিনায়কের বিশ্বাস, ব্যক্তিগত দূরত্ব একদিন ঠিক হয়ে যাবে। তামিম বলেন, আমি কখনো বিশ্বাস করি না যে সম্পর্ক আর কখনও ঠিক হবে না। আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, সেও করেছে। যেদিন আমরা বুঝে একসঙ্গে বসতে পারব, সব সমস্যার সমাধান হবে। যদিও এখন আমরা একসঙ্গে মাঠে খেলি না, তবুও বিশ্বাস করি—একসঙ্গে মিলে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিতে পারি।
প্রসঙ্গত, ১৭ বছরেরও বেশি সময় জাতীয় দলের হয়ে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন সাকিব। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। সবশেষ সংসদের এমপি ছিলেন সাকিব। বয়স ৩৮ হওয়ায় জাতীয় দলে ফেরাও তার অনিশ্চিত।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।