Apan Desh | আপন দেশ

ঢাকার নি.প্রকৌশলী বাচ্চুকে ধরতে দুদক, ৫ কোটিতে পদ, ঘুষ কালেকশন ২২ কোটি

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০১, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৩৪, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার নি.প্রকৌশলী বাচ্চুকে ধরতে দুদক, ৫ কোটিতে পদ, ঘুষ কালেকশন ২২ কোটি

ফাইল ছবি

‘ঢাকায় টাকা উড়ে’-এমন প্রবাদ বাক্য গ্রামেগঞ্জের। তবে উড়তে না দেখা গেলেও রাজধানীতে ব্যাংক টু ব্যাংক বা বস্তায় লেনদেনের ঘটনা আছে। তেমনই লেনদেন ঘটেছে আগারগাঁও টু সচিবালয়ে। এ লেনদেন কাজ না করেই বিল পরিশোধ এবং পদায়নে ঘুষ হিসেবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাচ্চুর নিয়ন্ত্রণে এ ঘটনার প্রমাণও মিলেছে। চাউর আছে, ওই পদ বাগাতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ৫ কোটি টাকা। আর ঢাকা জেলার এক্সেনের পদে বসেই স্বল্প সময়ে পকেটস্থ করেছেন সাড়ে ২২ কোটি টাকা।

পানি যখন যে পাত্রে রাখা হয় তখন সে পাত্রের রং ধারণ করেন। বাচ্চুর গায়ের রং সাদা তবে চরিত্র পানির মতোই। যখন যে দল শাসন-শোষণ করেছে সে দলের জার্সি পড়ে ইউএনও, নির্বাহী প্রকৌশলীর ওপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। রাতারাতি বদলি কিংবা নিজহাতে মারধর করার নজির স্থাপন করেছেন।

শুধু ভুয়া বিল, বাউচার তৈরিই নয় মন্ত্রীর কণ্ঠস্বরও নকল করার সক্ষমতা আছে প্রকৌশলী বাচ্চুর। পতিত আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা বাচ্চু বর্তমান সরকারের জন্য বিষফোড়া বলে খোদ তার বিভাগেরই কর্মকর্তাদের মন্তব্য।

কর্মচারীদের টাকা আত্মসাৎকারী প্রকৌশলী বাচ্চুর স্ত্রী গৃহিণী আসমা পারভীনের নামে বিলাসবহুল গাড়ি, বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, জমি এবং নগদ টাকার অঙ্ক কপালে চোখ উঠার মতো। 

এসব খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে দুদক, সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে টিম। টেকনিক্যাল বিষয়ে দুদক তাদের সহযোগিতা নিচ্ছে। এর আগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ঘুষের রেট ফাইলভেদে ৬-৪০%

প্রকৌশল সেক্টরে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না-এ কথা নতুন নয়। তবে কালে-পাত্রে বদল হয়েছে ঘুষের রেট। দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকাকালে এ অপকর্ম করেছেন প্রকৌশলী বাচ্চু। এলজিইডির একাধিক ঠিকাদার এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এলজিইডি ভবন ঘুষের আঁতুড়ঘর। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ও প্রকৌশলী বাচ্চু যোগদানের পর চিত্র পাল্টেছে। ঘুষের নতুন রেট নির্ধারণ করেছেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। 

নিরাপত্তার স্বার্থে ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করছি না। তারা অভিযোগ করেন, সঠিক ও স্বাভাবিকভাবে কাজ করার পর বিল উত্তোলনের জন্য পিসি দিতে হতো ৫%, এখন হয়েছে ৬%। কাজ না করেই অগ্রিম বিল উত্তোলনে গুনতে হয় ৪০%। মূল টাকার ১৫% চার্জ বাদে বাকি টাকার ওপর পিসি বসান প্রকৌশলী বাচ্চু গংরা। 

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে মিলেছে, ৬৫ কোটি টাকা অগ্রিম বিল দিয়েছেন বাচ্চু মিয়া। ঠিকাদারদের অভিযোগ সঠিক হলে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন ২২ কোটি টাকা। এছাড়াও ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মোবাইল মেইনটেনেন্সের কাজ না করেই ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পরিবারের সম্পত্তি:

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বাচ্চু মিয়া ও তার পরিবারের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরা, সেক্টর-১১-এ স্ত্রী আসমা পারভীনের নামে কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট, গাজীপুর সদর নিশাদনগরে এবং জয়দেবপুরে বাড়ি, পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় একটি প্লট এবং ২০২২ সালে আসমা পারভীনের নামে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫-২৯৫২) একটি মূল্যবান গাড়ি। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তার পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক বেনামি গাড়ি ও বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে।

অগ্রিম বিল ও দুদকের অভিযান

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ ও ঢাকার নবাবগঞ্জে ইছামতী নদীর ওপর ২৭০ মিটার ব্রিজ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে দুদকের একটি দল ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অভিযানে এলজিইডি ঢাকা জেলা কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহর ও পূর্বাচলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পসহ (দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প) স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়ন- নামীয় প্রকল্পের আওতাধীন একটি প্রকল্প। এটির অফিসিয়াল নাম-ঢাকার মিরপুরে গাবতলী জিপিএস-এর ৬ তলা ভিত্তিসহ ৬ তলা ভবন নির্মাণ। এর আওতায় নির্মিতব্য ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ টিমে ছিলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক-স্বপন কুমার রায়সহ তিনজন।

সরেজমিন পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে দুদক কর্মকর্তা বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটির দুইটি ফ্লোরের কাজ সমাপ্ত হলেও চারটি ফ্লোরের নির্মাণ বিল ঠিকাদারকে প্রদান করা হয়েছে। আংশিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অনিয়ম/দুর্নীতির প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণের নিমিত্ত অবশিষ্ট রেকর্ডপত্রের জন্য চাহিদাপত্র প্রদান করে দুদক টিম। এ নিয়ে যাচাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক।

আরও পড়ুন<<>> র‌্যাংগসের পাচার ১০ হাজার কোটি টাকা, দুদক ম্যানেজ তিন কোটিতে

এছাড়াও আরেক অভিযানে ঢাকার নবাবগঞ্জে ইছামতী নদীর ওপর ২৭০ মিটার ব্রিজ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, এলজিইডি, ঢাকা, আগারগাঁও অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে। পরবর্তীতে নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ এলাকা ঘুরে দেখে।

পরিদর্শনে দেখা যায়, বর্ণিত ব্রিজের ৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টি স্প্যানের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও ব্রিজের মাঝখানে দুই পাশের সংযোগ হিসেবে আর্চ স্প্যানের কাজ বাকী রয়েছে। তবে, অফিসে সংরক্ষিত ব্রিজের অগ্রগতি সংক্রান্ত নথিতে কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ দেখিয়ে সর্বমোট প্রায় ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার ৭৭ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সার্বিকভাবে টিমের পর্যালোচনায় সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ না হয়েও বিল পরিশোধ করায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। 
অভিযোগ রয়েছে প্রকৌশলী বাচ্চু গত জুন মাসে কাজ শেষ না করেই দৃষ্টিনন্দন স্কুল প্রকল্পে ৩০ কোটি টাকা, কেরানীগঞ্জ প্রকল্পে ৩০ কোটি টাকা এবং বান্দুরা ব্রিজে ৫ কোটি টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করেছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোবাইল মেইনটেনেন্সের কাজ না করেই ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই প্রকৌশলী।

সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তদন্ত টিম।

দুদকের অভিযানের পর রেকর্ডপত্র যাচাই ও টেকনিক্যাল বিষয়াদি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিমের আহবায়ক করা হয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) মো. ইউসূফ হারুনকে, সদস্য সচিব করা হয়েছে-একই বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোসা. তাসলিমা খাতুনকে। অপর সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী (সড়ক) মো. বুলবুল আহমেদ। টিম সদস্যরা ইছামতির ওপর সেতুর কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রতিবেদন দিবেন।

সরকারি চাকুরে কাম দলীয় ক্যাডার

জন্মস্থান গাজীপুরের টঙ্গিতে। বাচ্চু লেখাপড়া শেষ করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার মা ছিলেন জাতীয় পার্টির নেত্রী। জোট শরিক হওয়ায় আর আওয়ামী লীগ শোষণ আমলের পুরোটাই ভোগ ও প্রভাব বিস্তার করেছেন। মাঝে বিএনপি আমলে পরিচয় দিতেন বিএনপি কর্মী হিসেবে। ফের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে পুরো দস্তুর আওয়ামী লীগার। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদে নাম লিখিয়েছেন। শোক, সভা-সমাবেশের ডোনারের ভূমিকা পালন করেছেন। বদৌলতে নিয়েছেন সুবিধা।

নিজ জেলা গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় (এলসিএস) মহিলা শ্রমিকদের বেতনের টাকা আত্মসাৎ ও ভুয়া প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছিলেন তিনি। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। ক্ষমতার প্রভাবে ওই কর্মকর্তাকেই বদলি করে দিয়েছিলেন বাচ্চু মিয়া। ময়মনসিংহ জেলার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী থাকাকালীন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার নজির স্থাপন করেছেন তিনি।

বাচ্চু যখন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ নেতা ( বায়ে), সড়ত ও সেতু বিভাগ গঠিত টিম (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়াও কিশোরগঞ্জ, পাবনায় তার অপকর্মের ছোঁয়ায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। যেখানেই তিনি চাকরি করেছেন সেখানেই বাচ্চু মিয়া ভুয়া বিল, এলসিএস কর্মীদের অর্থ আত্মসাৎ, সহকর্মীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছেন। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি পার পেয়ে গেছেন। 

প্রশ্ন ছিল-এমন একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে ঢাকা জেলার মত খুবই গুরত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন কেনো? জবাবে জানা গেছে হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেনের এ পদে বসতে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন ডুয়েটিয়ান বাচ্চু। বাধা উপেক্ষা করেই বিদায় বেলায় বদলির প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জন।

বিভাগীয় ব্যবস্থাতেও দমেনি বাচ্চু

গত বছর নেত্রকোনায় কর্মরত অবস্থায় বাচ্চু মিয়া এক মন্ত্রীর কণ্ঠস্বর নকল করে বিভিন্ন দফতরে তদবির বাণিজ্য করতেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ২০২৫ সালের ৩০ জুলাই একটি দৈনিক পত্রিকায় ৩০০ প্রকৌশলীর তালিকা উঠে আসে। তদন্ত করে যে তালিকা করেছিল এনবিআর। 

বিস্তর অভিযোগে যথাযথ প্রমাণ দিয়ে গত ৬ আগস্ট মোহাম্মদ খাজা মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে মো. শিকদার হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে, বাচ্চু মিয়া ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ’-এর পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি কাজে প্রভাব খাটাতেন।

এ প্রসঙ্গে অভিযান পরিচালনাকারী দুদকের সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় জানান, নথিপত্র আংশিক সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও চাওয়া হয়েছে। টিমের সকলে মিলে একসঙ্গে বসে কমিশনে প্রাথমিক রিপোর্ট দিব। কমিশনের যেভাবে অনুমোদন দিবেন সেভাবেই পরবর্তী রিপোর্ট দেয়া হবে।

প্রকৌশলী বাচ্চুর বক্তব্য

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে প্রকৌশলী বাচ্চু মিয়াকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি। পরে হোয়াট্স অ্যাপে অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। তিনি ফোন ব্যাক করে বলেন, আপনার প্রশ্নগুলো দেখেছি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তাই কোনো বক্তব্য দিব না। 

তিনি বলেন, সঠিক খবর হলে আমার আপত্তি নেই।

আপন দেশ/এবি/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়