
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। বিনোদনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আয়ের পথও খুলে দিয়েছে এ প্ল্যাটফর্মটি। দীর্ঘদিন ধরেই ইউটিউব থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছেন লাখো কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
এবার এ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আরও বড় এক সুখবর নিয়ে এলো ইউটিউব। আগের তুলনায় বর্তমানে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ আয় করা যাবে এ প্ল্যাটফর্মে। মূলত, নতুন একটি ফিচার এনেছে ইউটিউব। প্ল্যাটফর্মটিতে এতদিন বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ভিডিওতে সাবটাইটেল বা আলাদা আলাদা চ্যানেলের কন্টেন্টের ওপর নির্ভর করে চলতেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। কিন্তু নতুন ফিচারের মাধ্যমে এ প্রতিবন্ধকতা দূর করছে ইউটিউব।
জনপ্রিয় এ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি আনুষ্ঠানিকভাবে এখন থেকে চালু করেছে মাল্টি ল্যাঙ্গোয়েজ অডিও ডাবিং ফিচার্স। এর মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা একই ভিডিওতে বিভিন্ন ভাষার অডিও ট্র্যাক সংযুক্ত করতে পারবেন।
ইউটিউব তার ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, এ ফিচারটি বিশ্বজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ ফিচারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ছিলেন মিস্টার বিস্ট, মার্ক রবার, জেমি অলিভার, নিক ডিজিওভানির মত বড় বড় ক্রিয়েটররাও। একাধিক ভাষায় ভিডিও প্রকাশ করে তারা দেখিয়েছেন যে কনটেন্ট দেখার জন্য এর মাধ্যমে নতুন ও সহজ বিকল্প পেতে পারেন দর্শকরা।
আরওপড়ুন<<>>বাতাস থেকে পাওয়া যাবে খাবার পানি!
অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ ডাবিং করা যাবে না, বরং ক্রিয়েটরদের নিজেদেরকেই বিভিন্ন ভাষায় অডিও রেকর্ড করতে হবে। তারপরে ইউটিউবের সাবটাইটেল এডিটর টুল ব্যবহার করে ভিডিও আপলোড করতে হবে। সবচেয়ে বড় সুখবর হলো, আগে থেকে প্রকাশ করা ভিডিওতেও নতুন অডিও ট্র্যাক যোগ করা যেতে পারে এ ফিচারের মাধ্যমে। ফলে আলাদা চ্যানেল তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে না।
ইউটিউবের মতে, প্রাথমিক তথ্য থেকে দেখা যায় বহু ভাষার ট্র্যাক ব্যবহারকারী লক্ষ্য করেছেন, তাদের মোট ওয়াচ টাইমের ২৫ শতাংশ এসেছে এমন দর্শকদের থেকে যাদের প্রাথমিক ভাষা ভিডিওর ভাষা থেকে আলাদা ছিল। বিখ্যাত ক্রিয়েটর শেফ জেমি অলিভার এ ফিচার ব্যবহার করে তার ভিডিওর ভিউজ তিন গুণ বাড়িয়ে ফেলেছেন।
ইউটিউবের নতুন এই ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে আয় বাড়বে, সঙ্গে খরচও কমবে। আগে থার্ড পার্টি ডাবিং ও ট্রান্সলেশন পরিষেবার উপরে নির্ভর করতে হত। যাতে সময়ও বেশি লাগত আর খরচও বেশি হত। কিন্তু ইউটিউবের এ সমন্বিত টুলের সাহায্যে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে গেছে। সেসঙ্গে আগের থেকে আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে।
ভিডিও যারা নিজেদের ভাষাতে আগে দেখতে পারছিলেন না, তারাও এখন যেকোনো অন্য ভাষার ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন নতুন এ ফিচারের মাধ্যমে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।