
ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স (আগে টুইটার), ইউটিউবসহ ২০টিরও বেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপালের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে সরকারিভাবে নিবন্ধ সম্পন্ন করায় টিকটক, ভাইবারসহ আরও তিনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু থাকবে।
দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নেপালে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত প্রায় দুই ডজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তা মানেনি। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হবে।
নেপাল সরকার দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে দেশে একটি সংযোগ কার্যালয় বা প্রতিনিধিত্বকারী অফিস খুলতে বলছে। এজন্য সংসদে একটি বিলও পেশ কর হয়েছে। এর লক্ষ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে যথাযথভাবে পরিচালনা, দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক করা।
আরওপড়ুন<<>>স্টারলিংক ইন্টারনেটের অনুমোদিত রিসেলার হলো রবি
যদিও বিলটি এখনও সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার মুখ দেখেনি। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এটি মূলত সেন্সরশিপ আরোপ এবং অনলাইনে সরকারের সমালোচকদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
এদিকে অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করবে এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করবে।
তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ও শেয়ার করা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। যাতে ব্যবহারকারী এবং অপারেটর- উভয়েই তাদের কার্যকলাপের জন্য দায়বদ্ধ থাকে।
নেপাল এর আগেও বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত জুলাইয়ে অনলাইন জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে টেলিগ্রাম বন্ধ করা হয়েছিল। আবার গত বছর টিকটকের ওপর নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। যখন প্ল্যাটফর্মটির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ নতুন নিয়ম মানতে রাজি হয়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।