
এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদ
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। দুই দলের এক হওয়ার উদ্যোগ থেমে গেছে জটিল প্রক্রিয়ার কারণে।
এনসিপি নেতারা বলছেন, এখন নাম পরিবর্তন করে নতুন নিবন্ধন নেয়া সম্ভব নয়। তাই আপাতত দুই দলই আলাদা পথে হাঁটছে। তবে এ ব্যর্থতার জন্য গণঅধিকার পরিষদ দায় দিচ্ছে এনসিপিকে।
সম্প্রতি একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছিল দুই তরুণনির্ভর দলের মধ্যে। এমনকি কয়েক দফা বৈঠকও হয়। সিদ্ধান্ত ছিল—নতুন দলের নাম থাকবে ‘এনসিপি’। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই থেমে যায় উদ্যোগটি। এনসিপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নতুন নিবন্ধন নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, এখন নাম পরিবর্তন করে নতুন নিবন্ধন নেয়া সম্ভব নয়। দুটো দলই নিবন্ধিত। তাই কে ছাড় দেবে সেটাই মূল প্রশ্ন।
অন্যদিকে এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, দুই দলেরই তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন আছে। এখন একীভূত হওয়া জটিল। সামনে নির্বাচন, তাই আলাদা আলাদাভাবেই সক্রিয় থাকতে হবে।
আরও পড়ুন>>>বিএনপির চারপাশে বাড়ছে চাপ, প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন
তবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, আমরা এক হতে চাই। কিন্তু এনসিপির কিছু নেতা ভাবছেন, এক হলে তাদের পদ হারাতে হবে। এ মানসিকতা বাধা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, বড় দলের ছোট নেতা হওয়া ভালো, ছোট দলের প্রেসিডেন্ট হয়ে কোনো লাভ নেই। যদি এনসিপি বড় হতে না চায়, তবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদের ইতিমধ্যেই নিবন্ধন ও প্রতীক রয়েছে। কিন্তু এনসিপি এখনও নিবন্ধন ও প্রতীক পাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।